গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদী বাইডেন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:১৪ পিএম
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতির শেষ দিন আজ। তবে এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হবে বলে আশাবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
‘মানবিক’ বিরতির তৃতীয় দিন রোববার আরো ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। যাদের মধ্যে মাত্র চার বছর বয়সের একটি ইসরাইলি আমেরিকান মেয়েও রয়েছে।
হামাস জানিয়েছে, তারাও অস্থায়ী এ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চায়, যদি ইসরাইল আরো ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি দিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে।
রোববার ৩৯ অপ্রাপ্তবয়স্ক ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। এ নিয়ে গত তিন দিনে ১১৭ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলো।
কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরাইল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার থেকে গাজায় চার দিনের ‘মানবিক’ বিরতি শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এ চার দিনে হামাস অন্তত ৫০ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে, বিনিময়ে ইসরাইল তাদের কারাগারে বন্দি অন্তত ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাকের পাশাপাশি এক লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাস ভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে।
রোববার হামাস ১৩ ইসরাইলি, থাইল্যান্ডের তিনজন এবং রাশিয়ার পাসপোর্টধারী একজনকে রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রস কর্তৃপক্ষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের সফলভাবে গাজা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি জিম্মি মুক্তির বিষয়ে রোববার বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সেইসঙ্গে তিনি এটাও বলেন, যদি প্রতিদিন অন্তত ১০ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয় তবে তিনি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবকে স্বাগত জানাবেন।
তবে বাইডেনকে তিনি আরো বলেছেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলে আমরা পুনরায় পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধে ফিরে যাব এবং আমাদের লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত রাখবো। আর আমাদের লক্ষ্য হলো: হামাসকে নির্মূল করা, গাজা যা ছিল সেখানে যেনো আর কখনো ফিরে যেতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা এবং অবশ্যই আমদের সকল জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করা।