Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ক্ষুধায় মরছে ইথিওপিয়া, জাতিসংঘের ত্রাণ বন্ধ

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৬ পিএম

ক্ষুধায় মরছে ইথিওপিয়া, জাতিসংঘের ত্রাণ বন্ধ

এল নিনোর প্রভাবে পূর্ব আফ্রিকায় অনেক দিন থেকেই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন থেকেই খরায় ভুগছে উত্তর ইথিওপিয়া। ২০১৯ সাল থেকে হর্ন অব আফ্রিকা (সুদান, ইরিত্রিয়া, জিবুতি ও সোমালিয়াসহ আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল) অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমেও কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে চলতি বছরের শুরুর দিক থেকে দেশটিতে ত্রাণ কার্যক্রমও বন্ধ করে দিয়েছে জাতিসংঘ। খরা ও ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কারণে ক্ষুধায় মরছে ইথিওপিয়া। 

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, খাদ্য সংকটের কারণে দেশটির উত্তর টাইগ্রে ও আমহারা অঞ্চলে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে টাইগ্রের ইয়েচিলা শহরে মৃত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ জন। আর আমহারা অঞ্চলের ওয়াগ হেমরায় মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। এই দুই অঞ্চলে খরার কারণে মৃত গবাদিপশুর সংখ্যা চার হাজারের বেশি। 

টাইগ্রেতে দুই বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ মাত্র এক বছর আগে শেষ হয়েছে। এখনো কোনো কিছু গুছিয়ে উঠতে পারেনি এই অঞ্চলের মানুষেরা। এরই মধ্যে আমহারায় আরেকটি সংঘাত শুরু হয়েছে। অঞ্চলগুলো জাতিসংঘের সহায়তার ওপরই মোটামুটি নির্ভরশীল ছিল। এর মধ্যেই চুরির অভিযোগে দেশটিতে সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। সহায়তা বন্ধের পর মানবিক সংকট আরও খারাপ হয়। যদিও জাতিসংঘ জানিয়েছে, কিছু সংস্কারের পর যাদের খাদ্য সাহায্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের কাছে ডিসেম্বর থেকে পুনরায় খাদ্য সরবরাহ শুরু করা হবে। 

একদিকে খরার সঙ্গে লড়ছে উত্তর ইথিওপিয়া আর অন্যদিকে দেশটির দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে শুরু হয়েছে আকস্মিক বন্যা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, বন্যার কারণে তিন লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। ইথিওপিয়ার পূর্ব সোমালি অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। 

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, পূর্ব আফ্রিকাজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইথিওপিয়া, কেনিয়া ও সোমালিয়ায় ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘ এই ঘটনাগুলোকে ‘এক শতাব্দীর এক ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বন্যাপূর্ব আফ্রিকায় আরও প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সোমালিয়ার প্রায় ৪.৩ মিলিয়ন মানুষ (মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ) ‘ক্ষুধার সংকটজনক অথবা খারাপ পরিস্থিতির’ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম