এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান ইসরাইলের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম
যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, সাধারণ মানুষের ওপর বোমা হামলার পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। মৃত্যুর সংখ্যা বিরক্তির সৃষ্টি করছে। অনলাইন এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর যুদ্ধবিরতির এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধবিরতি মানে হলো হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ। যেকোনো রকমভাবে বেসামরিক মানুষের ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে হামাস, ইসরাইল নয়।
গাজায় ব্যাপকহারে বোমা হামলা ইসরাইলকে সুরক্ষিত রাখার সবচেয়ে উত্তম পন্থা, এমন ধারণার সঙ্গে একমত নন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সব শিশু, নারী, প্রবীণ মানুষদের ওপর বোমা হামলা করে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। আমাদের নীতির কারণে, আমরা গণতন্ত্রপন্থি এ জন্য এসব বিষয় আমাদের কাছে চরম মাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ। ইসরাইলের নিরাপত্তার পাশাপাশি মধ্য থেকে দীর্ঘ মেয়াদে এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, সব জীবনের মূল্যকে স্বীকার করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেন, ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের পরিকল্পনা নেই ইসরাইলের। তবে তাদেরকে একটি উন্নত ভবিষ্যত দিতে চায় ইসরাইল। গাজাকে বঞ্চিত রাখা এবং অবরোধ করে রাখা হয়েছে তাকে নিরস্ত্র করতে, উগ্রবাদ বন্ধ করতে এবং গাজাকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য।
আন্তর্জাতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা এবং অধিক মানবিক ত্রাণ পাঠানোর দাবি জোরালো হলেও ঘনবসতিপূর্ণ গাজা উপত্যকাকে কার্যত পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
মেডিসিন্স সান্স ফ্রন্টিয়ার্স বলেছে, গাজায় অবস্থিত সবচেয়ে বড় আল শিফা হাসপাতালে শনিবার ভোরে তীব্র হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। সেখানকার রোগী এবং স্টাফদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দাতব্য এই সংস্থাটি।
এই যুদ্ধের কারণে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়ছে বলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস।
রেডক্রস বলেছে, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সরবরাহ নেই বললেই চলে। ফলে তা ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে। গাজা পৌঁছে গেছে ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্নে’।
এই যুদ্ধ আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। লেবাননের যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহও সীমান্তের ওপাড় থেকে ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে মাঝে মাঝেই গুলি বিনিময় করছে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
এমন অবস্থায় আরব লিগ ও ওআইসির মধ্যে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে সৌদি আরব ও ইরান।