অবরুদ্ধ গাজাতেই শুধু নয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরেও সমানে হত্যা-ধরপাকড় চালাচ্ছে ইসরাইল। সেনাবাহিনী বলেছে, তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার আলজাজিরার খবরে আরও বলা হয়েছে, জেনিনে শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে পাঁচ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে বুধবার রাত্রিকালীন হামলা শুরুর পর ইসরাইলি বাহিনী তরুণ ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের রাস্তা ধ্বংস করতে বুলডোজার ব্যবহার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। সেনাদের একটি বড় বাহিনী প্রায় ৭০টি সামরিক যানের বিরাট কাফেলায় চারটি বুলডোজারসহ হেলিকপ্টার ও অনুসন্ধান বিমান দিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে জেনিনে হামলা চালিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেলিকপ্টার এবং রিকনাইস্যান্স বিমানটি ওভারহেডের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় গুলির শব্দ শোনা গেছে। একটি চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, বুধবারের হামলায় অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেথলেহেম অঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে মোহাম্মদ ফরিদ থাওয়াবতা নামের এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিকে আলজাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরেও হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলমান যুদ্ধে জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি স্নাইপাররা অবস্থান নিচ্ছে বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনী কিছু এলাকায় বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। দেয়াল ভেঙে সশস্ত্র যোদ্ধাদের খুঁজছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লার আমরি ক্যাম্পেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।
সেনাবাহিনী বলছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে আটকদের মোট সংখ্যা এক হাজার ৪৩০-এরও বেশি হতে পারে। ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স গ্রুপ বলছে, ৭ অক্টোবর থেকে দুই হাজার ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে আটকের নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধির জন্য ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের নিন্দা করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, চলমান এই অভিযানে এখন পর্যন্ত সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।