পশ্চিম তীরে ক্রমেই বাড়ছে ইসরাইলের ধরপাকড়
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪৩ পিএম
গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরে ক্রমেই বাড়ছে ইসরাইলের আক্রমণ। রাতারাতি হামলায় চারদিকে দেখা যাচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞ। রাস্তাঘাটসহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অসংখ্য বাড়িঘর। প্রতিনিয়তই ইসরাইল বাহিনীর হামলার শিকার হচ্ছেন অধিকৃত পশ্চিম তীরের বাসিন্দারাও। বুধবার নতুন করে পাঁচ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ২৬ দিনের যুদ্ধে পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছেন ১১৫ জন বাসিন্দা। আহত হয়েছেন আরও দুই হাজার ফিলিস্তিনি। হত্যা ও সংঘর্ষের পাশাপাশি ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের। বুধবার একজন ফাতাহ পার্টির নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলজাজিরা।
সবচেয়ে বড় হামলাটি পশ্চিম তীরের উত্তরে জেনিন শরণার্থী শিবিরে হয়েছিল। শিবিরে থাকা তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন। আলজাজিরার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এটি মধ্যরাতে শুরু হয়েছিল এবং সকাল ৭টার দিকে শেষ হয়েছিল। ৭ অক্টোবরের পর থেকে আমাদের দেখা সবচেয়ে বড় অভিযানগুলোর মধ্যে এটি একটি।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী প্রচুর সংখ্যায় এসেছিল। কমপক্ষে ১০০ সেনা এবং একাধিক সাঁজোয়া যান দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে ফিলিস্তিনি মিডিয়া অনুসারে বুধবার ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীর তুলকারম জেলায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে একজন বয়স্ক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম ম্যাগডি জাকারিয়া ইউসেফ আওয়াদ (৬৫)।
তিনি ছিলেন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী একজন বৃদ্ধ। এরপর চলে রাতভর ইসরাইলের ধরপাকড়। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে ইসরাইলের পশ্চিম তীরের কলকিলিয়াতে ইসরাইলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনির মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের কথা জানা গেছে।
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়ে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে। ধর্মঘটের ফলে অচলাবস্থায় রয়েছে অধিকৃত অঞ্চলটি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স সোসাইটি আলজাজিরাকে জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে রাতারাতি কমপক্ষে ৭০ জন ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে। এদিকে জাবালিয়ায় হামলা নিয়ে হামাস দিয়েছে ভিন্ন তথ্য। তাদের দাবি, শরণার্থী শিবিরে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি।
তাদের মতে, ইসরাইলি বিমান হামলায় তিনজন বিদেশি পাসপোর্টধারীসহ সাতজন বেসামরিক জিম্মি নিহত হয়েছেন।