গাজার রাস্তায় রাস্তায় খানাখন্দ নালা-নর্দমা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪০ পিএম
ইসরাইলের আক্রমণের পর থেকেই গাজায় চলছে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। শক্তিশালী অস্ত্র ও গোলাবারুদের আঘাতে নিঃশেষ হয়ে গেছে গাজার ভবনগুলো। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষের সহায়সম্বল। বিনষ্ট হচ্ছে অবকাঠামোসহ নানা স্থাপনা। ইসরাইলের বিস্ফোরণে ভেঙে গেছে পথ-ঘাটও। রাস্তায় রাস্তায় দেখা যাচ্ছে খানাখন্দ। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। রাস্তাঘাটে নর্দমার পানি উপচে পড়ছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে গাজার করুণ পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি (৫৯)।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে লাজারিনি গাজার স্থল পরিস্থিতি এবং মানবিক সাহায্যের জরুরি প্রয়োজনগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কথা বলছি, গাজার মানুষ অন্যদিকে মারা যাচ্ছে, মৌলিক পরিষেবাগুলো ভেঙে পড়ছে। এদিকে খাবার এবং পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে, অপরদিকে রাস্তায় নর্দমার পানি উপচে পড়া শুরু হয়েছে।’
লাজারিনি আরও বলেন, ‘গাজা একটি বিশাল স্বাস্থ্যঝুঁকির দ্বারপ্রান্তে। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। কয়েকদিন আগে আমি সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে, জ্বালানি সরবরাহ না পেলে আমরা আমাদের মানবিক অভিযান চালিয়ে যেতে পারব না। গাজায় ত্রাণ সাহায্যও ফুরিয়ে এসেছে।’ লাজারিনি বলেন, ‘তিনি নিশ্চিত নন তাদের সাহায্য আর কতদিন স্থায়ী হতে পারে, তবে এটি অবশ্যই কয়েক দিনের বেশি নয়।’ বিবৃতির সমাপনী বক্তব্যে লাজারিনি বলেন, ‘গাজায় তার আন্তর্জাতিক ত্রাণ ও কর্মসংস্থার (ইউএনআরডব্লিউআর) সহকর্মীদের অন্তত ৫৭ জন নিহত হয়েছেন।
চলমান এ পরিস্থিতিকে অন্ধকার সময়ের সঙ্গে তুলনা করে সহকর্মী এবং তাদের পরিবারের মৃত্যুতে শোকও প্রকাশ করেছেন তিনি। একই দিনে যুগান্তরকে পাঠানো গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষিজমিতেও হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। গত ২১ দিনের হামলায় ২৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমির শস্য নষ্ট হয়েছে। অনবরত আক্রমণে ধ্বংস হচ্ছে শাক-সবজিসহ অন্যান্য খাদশস্য।