ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৭ হাজার ৩২৬ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার শিশু বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
এছাড়া, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর অনবরত বোমা হামলায় গাজার প্রায় ২ লাখ বাসভবন সম্পূর্ণ বা আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে, যা গাজার জনবহুল এলাকার ২৫ শতাংশেরও বেশি বলে জানিয়েছেন সেখানকার গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রী মোহাম্মদ জিয়ারা।
এদিকে নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে গাজায় ত্রাণ সরবরাহে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, গাজায় সব পক্ষের দ্বারাই যুদ্ধাপরাধসহ আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন হচ্ছে। এ ধরনের নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ ও দুর্ভোগের মুখে মানবতাকে অবশ্যই জয়ী হতে হবে।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামলায় দ্রুত বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। নিহতদের মধ্যে প্রায় শতভাগই বেসামরিক নাগরিক। তবে সবচেয়ে বেশি আশঙ্কার বিষয় হলো, এই বেসামরিকদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মানসুর জানিয়েছেন, বিগত ২০ দিনে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৩ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে হামাস-ইসরাইল সংঘাত ইস্যুতে আলোচনা সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় রিয়াদ মানসুর বলেন, আমি আবারো বলছি, বিগত তিন সপ্তাহে প্রায় ৩ হাজার নিষ্পাপ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে।