Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বাইডেনের ‘সুর নরম’, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১৩ পিএম

বাইডেনের ‘সুর নরম’, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ

রোজ গার্ডেনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জো বাইডেন। ছবি: ওয়াশিংটন পোস্ট

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইল যে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করা হয়েছে বিভিন্ন পক্ষ থেকে। কারণ গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ইসরাইলি অভিযানে সরাসরি সমর্থন দিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুধু তাই নয়, বাইডেন ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ইসরাইল সফর করে সমর্থন দিয়ে এসেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানে আরব দেশগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ ওয়াশিংটনের ওপর। এমনকি বাইডেন ইসরাইল সফরে গেলে তার সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে জর্ডান। অন্য আরব দেশগুলোর সঙ্গেও ওয়াশিংটনের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। 

মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি, আরব দেশগুলোর সংগঠন আরব লীগ, জাতিসংঘ, তুরস্ক, চীন ও রাশিয়াসহ বিশ্বের বহুদেশ মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানে পৃথক ইসরাইল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। 

দ্য গার্ডিয়ান ও ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে, বিশেষ করে আরব নেতাদের অনড় অবস্থানের কারণে এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন করে ইসরাইলের পাশে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, কয়েক দশক পুরনো ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসানে দুই রাষ্ট্র সমাধান নিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতি জোরদার করবেন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর দখলকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি সেটেলারদের (বসতি স্থাপনকারী) প্রতিশোধমূলক হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাইডেন সেটেলারদের এ হামলার বিরুদ্ধেও কথা বলেছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইতোমধ্যে জ্বলতে থাকা মধ্যপ্রাচ্যে উগ্র সেটেলারদের হামলাগুলো জ্বালানি ঢালছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। তাদের জবাবদিহি করতে হবে। এখনই এসব বন্ধ হতে হবে।

পশ্চিমতীরের শাসক গোষ্ঠী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর সেটেলারদের সহিংসতা বেড়েছে। সেটেলারদের হাতে ফিলিস্তিনিরা নিহত হচ্ছেন। 

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলেছে, একাধিক ছোট বেদুইন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে সেটেলাররা, গাড়িতে আগুন দিয়েছে, তাদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেছে।

অপরদিকে ইসরাইলে হামাসের হামলার আবারও নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মার্কিন নেতৃত্বাধীন উদ্যোগকে বানচাল করতে হামাস এ হামলা চালিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। ওই হামলায় ১ হাজার ৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তেলআবিব।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইসরাইল-হামাস সংঘাতের অবসানের পর ইসরাইল, ফিলিস্তিন ও তাদের অংশীদারদের দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমাধান নিয়ে অবশ্যই কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ইসরাইল ও ফিলিস্তিন পাশাপাশি নিরাপত্তা, শ্রদ্ধা ও শান্তিতে বসবাসের সমান অধিকারের দাবিদার। যখন এই সংকটের অবসান হবে, তখন আগামীর লক্ষ্য থাকতে হবে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হলো, সেটিকে হতে হবে দুই রাষ্ট্র সমাধান।

হামাসের হামলার জবাবে গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণ করে আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। গত মঙ্গলবার একদিনেই সাত শতাধিক ফিলিস্তিনি মারা গেছেন ইসরাইলি বোমাবর্ষণে।

জাতিসংঘের হিসাব বলছে, এখন পর্যন্ত গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ। ইসরাইলের ‘নিরবচ্ছিন্ন’ বিমান হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।  

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম