গাজায় ‘যুদ্ধবিরতি’ প্রশ্নে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১৬ এএম
ইসরাইল, ফিলিস্তিন ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে টানা দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলের সংঘাত চলছে। সংঘাতের শুরু থেকেই অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল।
হামলায় গাজায় প্রায় ৫ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফলে দাবি উঠেছে— গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের।
আরও পড়ুন: এবার ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন ইসরাইলিরা
তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করলে সেটি কেবল হামাসকেই সাহায্য করবে। খবর এএফপি।
বুধবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় পূর্ণমাত্রার যুদ্ধবিরতি কেবল হামাসকে সাহায্য করবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
তবে তাদের দাবি, গাজায় অত্যাবশ্যক সহায়তা দেওয়ার জন্য চলমান ইসরাইলি হামলায় মানবিক ‘বিরতি’ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
এএফপি বলছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের অবিরাম বোমাবর্ষণের শিকার হওয়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ত্রাণ বিতরণ ‘যথেষ্ট দ্রুতগতিতে করা হয়নি’ বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মন্তব্য করার পর হোয়াইট হাউসের এ বক্তব্য সামনে এলো।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজায় এখন যুদ্ধবিরতি হলে সেটি এলেই শুধু হামাসের উপকার করবে।’
এ ছাড়া মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা চলমান যুদ্ধে কিছুটা বিরতির আহ্বান জানানোর কথা বিবেচনা করছেন।
কিরবি বলেন, ওয়াশিংটন পূর্ণ যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করলেও মানবিক সাহায্য সরবরাহের সুবিধার্থে লড়াই কিছুটা থামানোর ‘বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত’।
তিনি বলেন, ‘আমরা বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে চাই এবং সামরিক অভিযানে বিরতি একটি কৌশল হিসেবে সাময়িক সময়ের জন্য হতে পারে।’
তবে তার দাবি— ‘এটাকে যুদ্ধবিরতি বলা যাবে না।’