ইসরাইলের বর্বরতার বর্ণনা দিলেন এক ফিলিস্তিনি মা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৪২ এএম
ছবি: সংগৃহীত
শনিবার ফিলিস্তিনের গাজায় লিফলেট ছড়িয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তাতে তারা জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণে সরে যাওয়ার জন্য ইসরাইলের আদেশ মেনে না নেওয়া ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উগ্রবাদী সংগঠনের অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনি হাসপাতাল, জাতিসংঘের স্কুল এবং নাগরিকদের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
গাজায় এখনো একটি ফোন লাইনের সঙ্গে সংযোগ আছে যেসব ফিলিস্তিনিদের তাদের একই সতর্কবার্তা-সহ টেক্সট বার্তা এবং কল দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
এ বিষয়ে গাজা শহরের একজন লেখক এবং মা ইমান বাশার বলেন, ‘আমরা তিনবার (ইসরাইলি সেনাবাহিনীর) কল পেয়েছি। তারা হুমকি দিচ্ছিল। ইসরাইলি সেনারা জানিয়েছে- এবার কোনো করুণা করা হবে না। এ কারণেই আমাদের (উত্তর গাজা থেকে) সরে যেতে হয়েছে।
খান ইউনিসের কাছ থেকে আল-জাজিরার সঙ্গে কথা বলেছেন ইমান বাশার। তিনি জানান, (গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে) তিনি তার বাবা-মা এবং তিন সন্তানের পাশাপাশি অন্য পাঁচজনের জন্য একটি ছোট ঘর ভাড়া নিয়েছেন।
ইমান বাশার বলেন, ‘আমাদের নির্জন কারাগারে থাকা বন্দিদের মতো ঘুমানোর জায়গা আছে।’ তিনি জানান, ‘আমি (উত্তর গাজায়) থাকতে চেয়েছিলাম। আমি আসলে কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমি আমার বাড়ি ছাড়তে চাইনি।’
এ ফিলিস্তিনি নারী বলেন, ‘আমি নিজে থেকে উত্তর গাজা থেকে এখানে আসিনি। আমার এখানে আসার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু, আমার তিনটি বাচ্চা আছে, তাই তাদের বাঁচাতে আমি এখানে আসতে বাধ্য হয়েছি।’
তিনি জানান, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে একটি বাজার থেকে কথা বলছি - যেখানে দুই বার (ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে) বোমা হামলা হয়েছিল। আমি এখন আমার নিজের চোখে ধ্বংস দেখতে পাচ্ছি।
তবে ইমান বাশার আরও বলেন, কিন্তু এ বাজারে আসা ছাড়া আমার হাতে কোনো বিকল্প ছিল না। আমার বাচ্চাদের গায়ে পরার মতো কিছুই নেই। কারণ, আমরা উত্তর গাজা থেকে আসার সময় তেমন কিছু সঙ্গে করে আনতে পারিনি। ড্রাইভার আমাদের বিশেষভাবে বলেছিল যে আমরা খুব জিনিসপত্র সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারব।
সূত্র: আলজাজিরা