পড়াশোনার এত চাপ কেন থাকবে: আত্মহত্যাকারী আইআইটি ছাত্রের বাবার ক্ষোভ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম
ভারতের ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি খড়গপুরের (আইআইটি) এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনার পেছনে ভারতের স্বনামধন্য প্রকৌশল ইনস্টিটিউটে পড়াশোনার অত্যধিক চাপের অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রের বাবা।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র কে কিরণ চন্দ্রকে গত বুধবার তার হোস্টেলের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
তার বাবা কে চন্দর অভিযোগ করেছেন, তার ছেলে পড়াশোনা নিয়ে অনেক চাপের মধ্যে ছিলেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এত চাপ কেন? আমাদের বাচ্চাদের আইআইটিতে এত চাপের মধ্যে রাখা হচ্ছে? তিনি মনে করেন, শিক্ষকদের চাপের কারণেই ছেলে আত্মহত্যা করেছেন।
আইআইটি বলছে, চন্দ্র লাল বাহাদুর শাস্ত্রী (এলবিএস) আবাসিক হলে থাকতেন ওই ছাত্র। গত মঙ্গলবার রাতে তিনি আত্মহত্যা করেন।
আইআইটি খড়গপুরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে- সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কিরণ চন্দ্র তার দুই রুমমেটের সঙ্গে হোস্টেলের রুমেই ছিলেন। অন্য দুই শিক্ষার্থী একাডেমিক কাজের জন্য বাইরে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে হলের সহপাঠীরা দেখতে পান ঘরটি ভেতর থেকে তালাবদ্ধ। দরজার তালা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
গত বছরের ১৪ অক্টোবর আইআইটি খড়গপুরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফায়জান আহমেদের অর্ধগলিত দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থী আসাম রাজ্যের বাসিন্দা।
আইআইটি খড়গপুর পরে বলেছে, ফায়জান আত্মহত্যা করেছেন। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে লাশ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাকে ক্যাম্পাসে হত্যা করা হয়েছে এবং ইনস্টিটিউট বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এছাড়া গত ১৭ জুলাই আইআইটি হায়দরাবাদের একটি হোস্টেল থেকে ধনাবন্ত কার্তিক নামে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই শিক্ষার্থীও পড়াশোনার চাপে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ করে পরিবার। এছাড়া ২০১৯ সালে এই ক্যাম্পাসের তিনজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।