Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

গাজায় ৩ লাখ ৩৯ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৬ পিএম

গাজায় ৩ লাখ ৩৯ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত

গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ। ১২ অক্টোবর ছবি: রয়টার্স

জাতিসংঘ বলেছে, ফিলিস্তিনি ছিটমহলে ইসরাইলের ভারি বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় গাজা উপত্যকায় ৩ লাখ ৩৯ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি অব্যাহত রয়েছে।

বুধবার দিনের শেষনাগাদ গাজায় বাস্তুচ্যুতি মানুষের সংখ্যা ২৪ ঘণ্টা আগে প্রদত্ত পরিসংখ্যান থেকে আরও ৭৫ হাজার বেড়ে এই সংখ্যা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ জনে পৌঁছেছে।

শনিবার ফিলিস্তিনি হামাস যোদ্ধাদের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল ২৩ লাখ লোকের ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে এই মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে।

ইসরাইলি বাহিনী বলেছে, হামাসের হামলায় ১,২০০ ইসরাইলির মৃত্যু হয়েছে, দেশটির ইতিহাসে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

গাজায় ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইলের বিমান ও কামান হামলার অব্যাহত অভিযানে এক হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন।

ওসিএইচএ জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের দুই-তৃতীয়াংশ প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের সমর্থনকারী জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় চেয়েছে।

আরও প্রায় ১৫ হাজার লোক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পরিচালিত স্কুলে পালিয়ে গেছে, যখন ১ লাখের বেশি গাজা শহরের আত্মীয়, প্রতিবেশী এবং একটি গির্জা এবং অন্যান্য সুবিধার দ্বারা আশ্রয় নিচ্ছে।

ওসিএইচএ জানিয়েছে, শনিবারের হামলার আগে ছিটমহলের প্রায় ৩,০০০ মানুষ ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ওসিএইচএ গাজার গণপূর্ত ও আবাসন মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা উদ্ধৃত করে বলেছে, বোমা হামলা গাজায় কমপক্ষে ২,৫৪০টি আবাসন ইউনিট ধ্বংস করেছে বা বসবাসের অযোগ্য করে দিয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, আরও ২২ হাজার ৮৫০টি আবাসন ইউনিট মাঝারি থেকে ছোটখাটো ক্ষতি হয়েছে।

জাতিসংঘের সংস্থাটিও ইসরাইলি বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেসামরিক অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ধ্বংসের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে দশ লাখেরও বেশি লোকের পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধাগুলো বিমান হামলার শিকার হয়েছে। রাস্তায় কঠিন বর্জ্য জমেছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম