হামাসের মুবার-১ কামানের ভেলকিতে দিশেহারা ইসরাইল। গাজা উপত্যকায় হামলা চালানো ইসরাইলি বাহিনীকে একের পর এক অবাক করছে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। সম্পূর্ণ নতুন একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরাইলের ৪টি অত্যাধুনিক এএইচ-৬৪ অ্যাপাচি হেলিকপ্টার নিমিষেই ভূপাতিত করে নতুনভাবে তাক লাগিয়েছে। ফলে পুরো ইসরাইলজুড় উদ্বিগ্ন ছড়িয়ে পড়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘মুবার-১।’ এটি মূলত একটি মিসাইল, যা আকাশে স্বল্পদূরত্বের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে। এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রোগ্রাম্যাবল ইলেকট্রনিক ফিউজ দিয়ে সাজানো রকেট রয়েছে বলে মনে করা হয়। যার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এতোটাই উন্নত যা আঘাতের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। বেশ কয়েকজন সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ফিলিস্তিনের এ উদ্ভাবনা ইসরাইলি বিমান চলাচলের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
হামাসে এ ধরনের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এর আগে কখনোই দেখা যায়নি। হামাসের দাবি, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি নিজের দেশেই তৈরি করা হয়েছে। তিন ধাপে ব্যবহার করা হয় এ মিসাইলটি। সম্প্রতি এর ব্যবহার নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস।
ভিডিওতে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ধাপগুলো দেখানো হয়েছে। প্রথম ধাপটি হলো, মিসাইল নিক্ষেপের বেস। দ্বিতীয় ধাপে সেখানে আড়াই ফুট দীর্ঘ পাইপ আকৃতির একটি মিসাইল স্থাপন করা হয়। তৃতীয় ধাপে নিরাপদ অবস্থান থেকে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং লক্ষ্যবস্তুকে খুঁজে বের করে আঘাত করা হয়। একটি মিসাইল নিক্ষেপ করা হলে পরবর্তী অপারেশনের জন্য আরেকটি মিসাইল স্থাপন করতে হয়। প্রতিটি ব্যবস্থায় চারজন সহযোগী নিযুক্ত থাকেন। এর মধ্যে দুজন মিসাইল বসানোর কাজ করেন। একজন কমান্ড দেন। অন্যজন এটির রাডার সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করেন।
এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন চারদিকে ঘুরতে পারে এবং খুব সহজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তর করা যায়। ২০ থেকে ৭০ ডিগ্রি উপর-নিচ হয়ে নিশানা ঠিক করে ৬ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। অনেকে মুবার-১ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ইরানি প্রযুক্তি দাবি করছেন। তবে হামাসের দাবি, এটি ফিলিস্তিনের সামরিক শাখা আল-কাশেম ব্রিগেড তৈরি করেছে।