Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বন্দি ইসরাইলিরা কেন ফিলিস্তিনের আশীর্বাদ

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৫১ পিএম

বন্দি ইসরাইলিরা কেন ফিলিস্তিনের আশীর্বাদ

ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শেষে বা যুদ্ধের মাঝপথেই ফিলিস্তিনের জন্য বড় আশীর্বাদ হয়ে উঠেবে জিম্মি  ইসরাইলিরা। এমন মন্তব্যই করছেন আরব বিশ্লেষক। 

গত ৪৮ ঘণ্টায় সেনা ও বেসামরিক নাগরিকসহ শতাধিক ইসরাইলিকে জিম্মি করেছে হামাস। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ পরিসংখ্যানকেও ছাড়িয়ে গেছে আরব মুলুকের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। বলছে, ইসরাইলের অনন্ত ৭৫০ জন নাগরিক এখনো নিখোঁজ। 

এমন হলে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ ইতিহাসে হামাসের সবচেয়ে বড় বিজয় হবে এটিই। কারণ নাগরিকদের মুক্তি নিয়েই বন্দিবিনিময় চুক্তির সূর্য উঠবে ফিলিস্তিনের আকাশে। 

বছরের পর বছর ইসরাইল কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিরা পৃথিবীর আলো দেখবে। আবার পা রাখবে নিজের পৈতৃক ভূখণ্ডে ফিরে পাবে পরিবার। খবর জেরুজালেম পোস্ট, টাইমস অব ইসরাইল, এপির।

ইসরাইলিদের বন্দি করে জিম্মি করে রাখা-এটা তাদের যুদ্ধ পরিকল্পনার বড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। 

এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে হামাসের ডেপুটি চিফ সালেহ আল-আরোরি বলেছেন, তারা বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সৈন্যকে বন্দি করেছে। তাদের হেফাজতে ইসরাইলি কমান্ডারও রয়েছেন। 

‘বন্দি বিনিময় চুক্তি’র অংশ হিসাবে ইসরাইলিদের বন্দিরা হামাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির দুয়ার খুলে যাবে। দুই দেশের বন্দিদের অদলবদলের মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া হবে বন্দিদের। 

সালেহ আরও বলেন, ‘ইসরাইলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিরা মুক্ত হতে চলেছে। ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।’

অনেক আগে থেকেই চুক্তির মাধ্যমে বন্দিদের মুক্তির ঘটনা ঘটেছে এ দুই দেশে। ২০০৬ সালে ইসরাইলি সৈনিক গিলাদ শালিত গাজার কাছে একটি আন্তঃসীমান্ত অভিযানের সময় হামাসের হাতে বন্দি হয়েছিলেন। 

পাঁচ বছর আটকে রাখার পর ইসরাইলি কারাগারে বন্দি এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিন বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে শালিতকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। একই রকম বন্দি বিনিময়ের আশা করছেন ফিলিস্তিনিরা। 

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেন, ‘হামাসের লক্ষ্য আমাদের ভূমি, আমাদের পবিত্র স্থান, আমাদের আল-আকসা এবং আমাদের বন্দিদের মুক্ত করা।’ 

তবে মানবিক বন্দি বিনিময় চুক্তিতে অংশ নিতে অস্বীকার করেছে ইসরাইল। হামাসের সামরিক শাখার নেতা মোহাম্মদ দেইফ এ কথা জানান। ইতোমধ্যে ইসরাইলিরা নিখোঁজদের ছবি শেয়ার করেছে। তাদের নিরাপদে ফিরে পাওয়ার আশায় জনসাধারণকে অনুরোধ করছে। 

দেইফ বলেন, ‘আমাদের শতাধিক বন্দি ২০ বছর অথবা তার থেকেও বেশি সময় ধরে কারাগারের অন্ধকারে কাটিয়েছে। কারাগারে আমাদের কয়েক হাজার ভাই ও বোনেরা ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগে নিঃশেষ হয়ে গেছে। চিকিৎসার অবহেলায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে।’ 

ফিলিস্তিনি অধিকার গ্রুপ অ্যাডামিরের মতে, ইসরাইলি কারাগারে প্রায় পাঁচ হাজার ২০০ রাজনৈতিক বন্দি রয়েছে। যার মধ্যে এক হাজার ২৬৪টিরও বেশি প্রশাসনিক বন্দি রয়েছে। 

জানা যায়, প্রায় এক-চতুর্থাংশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ‘প্রশাসনিক আটক’ নামে পরিচিত একটি বিতর্কিত অনুশীলনের মাধ্যমে কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটকে রাখা হয়।


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম