Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

শান্তিতে নোবেলজয়ী কে এই নার্গিস মোহাম্মদী?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম

শান্তিতে নোবেলজয়ী কে এই নার্গিস মোহাম্মদী?

২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ইরানের কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদী। ইরানে নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং মানবাধিকারের পক্ষে সোচ্চার থাকার জন্য তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

নার্গিস মোহাম্মদী ১৯৭২ সালের ২১ এপ্রিল ইরানের জাঞ্জানে জন্মগ্রহণ করেন। কোরভেহ, (কুর্দিস্তান), কারাজ ও ওশনাভিয়েহ শহরে তার শৈশব কাটে। তিনি ইমাম খোমেনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। পদার্থবিজ্ঞানে ডিগ্রি লাভ করার পর একজন পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে চাকরি জীবনে পদার্পণ করেন। তিনি শিক্ষাজীবন থেকেই সংবাদপত্রে নারীর অধিকার নিয়ে লেখালেখি করে আসছেন।
 
রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন ‘তাশাক্কুল দানেশজুয়ি রোশানগারান’ (আলোকিত ছাত্র সংগঠন)-এর সভা থেকে দুবার গ্রেফতার হন। সংগঠনের পাশাপাশি তিনি পর্বত আরোহণ সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে পরবর্তী সময়ে আর পর্বতারোহণে যোগদান করতে পারেননি।
 
তিনি বেশ কয়েকটি সংস্কারবাদী সংবাদপত্রের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। দ্য রিফর্মস, দ্য স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড দ্য ট্যাকটিকস নামে রাজনৈতিক প্রবন্ধের বই প্রকাশ করেন। ২০০৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী শিরিন এবাদির নেতৃত্বে ডিফেন্ডারস অব হিউম্যান রাইটস সেন্টারে যোগ দেন। পরে তিনি এ সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।
 
নার্গিস ইরান সরকারের সমালোচনা করায় সর্বপ্রথম ১৯৯৮ সালে গ্রেফতার হন। এক বছর পর মুক্তি দেয় তাকে। আবার ২০১০ সালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। কারাদণ্ড দেওয়ার পর ২০১১ সালে আবার তাকে ‘জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে’ কাজ করার দায়ে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর ২০১২ সালে সাজা কমিয়ে ৬ বছর করেন আদালত। এরপর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতরের সহায়তায় তাকে মুক্তির আবেদন করা হলে ৩১ জুলাই ২০১২ নার্গিস মোহাম্মদী কারাগার থেকে মুক্তি পান।
 
২০১৫ সালের ৫ মে তাকে আবারও নতুন অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৯ সালে নার্গিস তেহরানের এভিন কারাগারে চিকিৎসাসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন। ২০২০ সালে কারাগারে কোভিডে আক্রান্ত হন। ৮ অক্টোবর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
 
২০২১ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করায় তাকে আবার আটক করা হয়। এখন পর্যন্ত তিনি ইরানের কারাগারে রয়েছেন। 
 
১৯৯৯ সালে তিনি সহকর্মী সংস্কারপন্থি সাংবাদিক তাগি রহমানিকে বিয়ে করেন। বিয়ে করার কিছুদিন পরই রহমানিকে আটক করা হয়। মোট ১৩ বছর কারাদণ্ড ভোগ করার পর ২০১২ সালে রহমানি পরিবার ফ্রান্সে চলে আসেন। এদিকে নার্গিস তার মানবাধিকারের কাজ চালিয়ে যান। নার্গিস ও রহমানির যমজ সন্তান রয়েছে–আলী ও কিয়ানা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম