নিজ্জার হত্যা: দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্কে চিড় ধরার খবরে যা বলল ভারত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৩, ০২:১৪ পিএম
কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে
কানাডার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এই আবহে এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নাকি দূতাবাস কর্মীদের বলেছিলেন, আমেরিকার সাথেও ভারতের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। এই রিপোর্ট প্রকাশের পর শুরু হয় বিতর্ক। এমনই প্রেক্ষাপটে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে দিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো-তে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টি নাকি দূতাবাস কর্মীদের বলেছেন, কানাডার সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে ভারত-আমেরিকার মধ্যকার সম্পর্কও খারাপ হতে পারে। এমনকি ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা এবং যোগাযোগ কমাতেও নাকি বলেছিলেন তিনি। তবে এই রিপোর্ট পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই কানাডায় খলিস্তানপন্থিদের বাড়বাড়ন্তের কারণে জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট ভারত। এরই মাঝে গত জুন মাসে কানাডায় বসবাসরত খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
কানাডীয় নাগরিক নিজ্জারের হত্যার সঙ্গে ভারতীয় সরকারের হাত আছে বলে দেশটির পার্লামেন্টে অভিযোগ করেন খোদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর পরই দিল্লি-অটোয়া সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পলিটিকোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এমন প্রেক্ষাপটে এরিক গারসেট্টি নাকি মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের বলেছিলেন, এই ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আমেরিকারও সম্পর্ক খারাপ হতে পারে।
তবে মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে পলিটিকো-তে প্রকাশিত সেই রিপোর্ট পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
উলটো দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে কাজ করে চলেছেন এরিক গারসেট্টি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিজ্জার হত্যা সংক্রান্ত তথ্য কানাডার গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছিল আমেরিকা। যদিও সেই তথ্যে ভারত যোগের কোনো প্রমাণ রয়েছে কিনা, তা জানা ছিল না আমেরিকার। তবে ট্রুডো ভারতের দিকে আঙুল তোলার পর আমেরিকা এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে ওয়াশিংটন।