ভারি বর্ষণে ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। সেই বন্যার পানিতে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ভেসে আসা মর্টার শেল বিস্ফোরণে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ছয়জন।
জানা গেছে, তিস্তা নদীতে ভেসে আসা মর্টার শেলটিকে গুপ্তধন ভেবে কুড়ালের কোপে খোলার চেষ্টা করা হয়। এতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত ও ছয়জন আহত হন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির চাঁপাডাঙ্গা এলাকায় তবিবর রহমান নামে একজনের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের একজনের নাম আইনুর আলম, অপরজনের নাম জানা যায়নি। আহতরা হলেন— আইনুর আলম, লাকু আলম, তসমিরা বেগম, রমজান আলী, লতিফা খাতুন, গোমের আলী।
প্রবল বৃষ্টির কারণে ভারতের সিকিমের দক্ষিণ লোনাক লেক উপচে এবং চুংথাম বাঁধের একাংশ ভেঙে পানির স্রোত নেমে আসে তিস্তা নদীতে। বুধবার রাত থেকে তিস্তার ভয়ঙ্কর স্রোতে বিপর্যস্ত সিকিম। আকস্মিক বন্যায় নদীর পানিতে ভেসে নিখোঁজ হয়েছেন সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর ৪১ গাড়ি, বেশ কয়েকটি ছাউনি ও অনেক অস্ত্র ভেসে গেছে।
জানা গেছে, ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশেরও বেশ কয়েকটি অস্ত্র ডিপো তিস্তার পানিতে ভেসে গেছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাদেরও একাধিক জওয়ান নিখোঁজ আছেন।
সব মিলিয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভেসে আসা অস্ত্রের মাধ্যমে দুর্ঘটনা এড়াতে পাহাড়জুড়ে তল্লাশি শুরু করেছে প্রশাসন।
সেনাবাহিনীর আশঙ্কা, এসব অস্ত্র বেহাত হলে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। এ জন্য তিস্তাপাড়ে মাইকিং করে সতর্ক করছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: তিস্তার স্রোতে অবরুদ্ধ সিকিম, মৃত বেড়ে ১৪
নদীর পানিতে ভেসে আসা কোনো সামগ্রীতে যাতে কেউ হাত না দেন, সে কারণে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে।