নওয়াজ শরিফ নির্ধারিত তারিখেই দেশে ফিরছেন: শাহবাজ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:০৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফ আগামী ২১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।
বৃহস্পতিবার লন্ডনে পৌঁছে বড়ভাই নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে তিনি এ বার্তা দিয়েছেন।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, তার বড়ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আগামী ২১ অক্টোবরেই পাকিস্তান ফিরবেন, তার ফেরার তারিখ আর পরিবর্তন হবে না।
শাহবাজ বলেন, ইমরান খান জাতিকে অশ্লীলতা শিখিয়েছেন। নওয়াজ এই বিষের অবসান ঘটাবেন এবং যুবকদের শিক্ষিত করবেন এবং তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।
আরও পড়ুন: নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরছেনই: শাহবাজ
জিও নিউজ জানিয়েছে, লন্ডনে অবস্থানরত নওয়াজ শরিফ, সুলেমান শরিফ, আইনজীবী আযম নাজির তারার, আমজাদ পারভেজ এবং আতাউল্লাহ তারারের সঙ্গে আইনি বিষয় নিয়ে আলোচনা শেষে শনিবার মিডিয়ার সঙ্গে এসব কথা বলেন শাহবাজ।
প্রধান বিচারপতি তার রায়ে বলেছেন, জাতীয় জবাবদিহিতাবিষয়ক ব্যুরো এনএবির যে সংশোধনী এনে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত শীর্ষ নেতাদের বিচার বন্ধ রাখা হয়েছে, সেই সংশোধনী বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির প্রায় সব রাজনীতিকের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর কথা।
কিন্তু শাহবাজ বলছেন, এনএবির সংশোধনীর সঙ্গে নওয়াজ শরিফের মামলার কোনো যোগসূত্র নেই। নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে যে মামলা আছে তা মিথ্যা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে করা এবং সেই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ওই মামলার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এনএবি আইনের আওতায় তিনি ছিলেন না। আগামী ২১ অক্টোবর তিনি পাকিস্তান ফিরবেন।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের তীব্র সমালোচনা করে শাহবাজ শরিফ বলেন, তিনি বিতর্কিত ও রাজনৈতিক অনেক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তাতে সুবিধা পেয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি (প্রধান বিচারপতি) শুধু পিটিআইকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন।
সুপ্রিমকোর্টে ২-১ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়কে নিন্দনীয় অভিহিত করে শাহবাজ শরিফ বলেন, প্রধান বিচারপতি একটি কালো আইনকে প্রতিস্থাপন করেছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন— যখন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্দেশের মাধ্যমে এনএবি আইন পরিবর্তন করেছিলেন ইমরান খান, তখন কোথায় ছিলেন বান্দিয়াল? কেন তিনি ওই সময় এমন ভূমিকা রাখেননি? ওই অর্ডিন্যান্স চার মাস স্থায়ী হয়েছিল এবং তাতে ইমরান খানকে যারা সুবিধা দিয়েছে, তারা সুবিধা পেয়েছে।
শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পাকিস্তানের ক্ষতি করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইমরান খানকে ক্ষমতায় আনা হয়েছিল। পাকিস্তান যে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন করছিল, তা থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি আবারও পরিষ্কার ম্যান্ডেট দেওয়া হয়, তা হলে নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ২০১৭ সালের অবস্থায় নিয়ে যাবেন বলেও মন্তব্য সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা শাহবাজ শরিফের।
পাকিস্তানের সংবিধানের ৬২(১)(এফ) অনুচ্ছেদের অধীনে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় আগে নওয়াজ ও তারিনকে নির্বাচনে আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পিটিআইপ্রধান ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটির ক্ষমতায় আসে পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন জোট। পিএমএল-এন ক্ষমতায় ফেরার পর পরই শরিফ পরিবারের সদস্যদের অন্যান্য মামলা থেকেও খালাস দেওয়া হয়।