কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌ সদর দপ্তরে হামলার দায় স্বীকার ইউক্রেনের
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫০ পিএম
অধিকৃত ক্রিমিয়ার কৃষ্ণ সাগরে অবস্থিত রাশিয়ার নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। শুক্রবারের স্থানীয় সময় দুপুর ১২ টায় এ হামলায় একজন নিখোজ হয়েছে। হামলার পরপরই দেওয়া বিবৃতিতে প্রথমে একন নিহতের খবর জানিয়েছিল রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরবর্তী সময়ে বিবৃতি পালটে ‘হামলার পর বিস্ফোরণে একজন নিখোঁজ’ হওয়ার খবর দেয় মস্কো। হামলার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই এক বিমান বাহিনীর এক টেলিগ্রাম পোস্টে রুশ নৌবাহিনীর সদর দপ্তরে চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন। বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর এক সূত্র জানায়, হামলায় ব্রিটেন ও প্রান্সের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করেছে। ক্রিমিয়ার প্রায় ৫ লাখ বাসিন্দার শহর সেভাস্তোপলে নিযুক্ত রুশ-সমর্থিত গভর্নর শহরের কেন্দ্র থেকে সকলকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবহারিক এবং প্রতীকী উভয় কারণেই রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর সদর দপ্তর ইউক্রেনের প্রধান লক্ষ্য। রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে তার নৌ-জাহাজ থেকে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল যার ফলে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছিল। এমনকি ইউক্রেন শস্য রপ্তানি করতে ব্যবহৃত কৃষ্ণ সাগরে সামুদ্রিক শিপিং রুটগুলোও অবরুদ্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এমন আশঙ্কাও রয়েছে যে রাশিয়া সমুদ্র থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণ ওডেসা এবং মাইকোলাইভ অঞ্চলে আক্রমণ করতে কৃষ্ণ সাগরের এই সদর দপ্তরে অবতরণকারী জাহাজ ব্যবহার করতে পারে।
কৃষ্ণ সাগরের নৌবহর এই অঞ্চলে রাশিয়ার শতাব্দী প্রাচীন সামরিক উপস্থিতির একটি প্রধান প্রতীক। ইউক্রেনীয় উপদ্বীপে তার দাবির ন্যায্যতা প্রমাণ করতে ক্রিমিয়ায় বারবার নৌবহরের উপস্থিতি ব্যবহার করেছে রাশিয়া। দুই দেশের যুদ্দ শুরুর পর ক্রিমিয়ার নৌবহরে এটি ইউক্রেনের প্রথম হামলা।
শীতের আগেই রাশিয়ার ‘জ্বালানি সন্ত্রাস’ শুরু
এবার শীতের আগেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে পরিকল্পিত বিমান হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। এই মৌসুমেও যথারীতি শুরু হয়েছে জ্বালানি সন্ত্রাস। শুক্রবার ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শামিহাল এ কথা বলেছেন। এএফপি। তবে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গত বছরের তুলনায় বেশ ভালো বলে উলেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, তারা যেকোনও আক্রমণের প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
আগেরদিন বৃহষ্পতিবার ইউক্রেনজুড়ে ৪০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। হামলার একদিন পর এমন মন্তব্য করেছেন ডেনিস শামিহাল। ইউক্রেনের জ্বালানি উৎপাদন ও সংরক্ষণ স্থাপনায় হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পারছি গত দুই সপ্তাহ ধরে বিদ্যুতের আঞ্চলিক সাবস্টেশনগুলোতে প্রথম হামলা হয়েছে’।