যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ডেমোক্র্যাট এই নেতা দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী বছর হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে বাইডেনের বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অবশেষে এ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, দেশটির স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন- আমি আমার বয়সের দিকে মনোনিবেশ করছি।
পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চান।
৮০ বছর বয়সিরা সাধারণত নিজের বয়সের বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে নিউইয়র্কের ব্রডওয়ে থিয়েটারে অনুষ্ঠিত তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে তিনি কথা বলেন।
বাইডেন বলেন, অভিজ্ঞতা আমাকে ইউক্রেন ও কোভিডের মতো সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করেছে। অনেকেই আমার বয়স নিয়ে কথা বলছে। আমি এটা বুঝতে পারি। বিশ্বাস করুন, আমি বিষয়টি যে কারও থেকে বেশি জানি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেন লড়বেন তা জানিয়ে বাইডেন বলেন, গণতন্ত্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের ব্যালটে রয়েছে গণতন্ত্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ম্যাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন) রিপাবলিকানরা আমেরিকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর।
ডেমোক্রেটিক পার্টির এই নেতা বলেন, স্বৈরশাসকদের কাছে মাথা নত করবেন না। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ট্রাম্প ম্যাগা করেছে বলে অভিযোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এএফপি জানিয়েছে, জরিপ মতে- বেশিরভাগ মার্কিনি বাইডেনের বয়স নিয়ে চিন্তিত। ৭২ শতাংশ মার্কিনি বাইডেনকে আর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান না।
ওয়াশিংটন পোস্টে প্রতিনিয়ত লেখা প্রকাশ পাওয়া মার্কিন কলামিস্ট ডেভিড ইগনাটিয়ুস গত সপ্তাহে বাইডেনকে আগামী নির্বাচনে না লড়ার জন্য পরামর্শ দেন। ওই সময় এই কলামিস্ট বলেছিলেন, বাইডেন ট্রাম্পকে হারানোর লক্ষ্যে নিজের সমস্ত অর্জন ঝুঁকিতে ফেলছেন।