Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন

আপ্যায়নে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের মিতালি, খাবারের থালে ৩ হাজার পদ!

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৯ পিএম

আপ্যায়নে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের মিতালি, খাবারের থালে ৩ হাজার পদ!

নিরাপত্তা থেকে আপ্যায়ন জি-২০ সম্মেলন আয়োজনে বিশ্বকূটনীতির ‘ষোলোকলা’য় পূর্ণ করল ভারতের মোদি সরকার। ঘরে ডেকে অতিথিকে শুধু নিজের হেঁসেলের কারিশমা দেখাচ্ছে তা নয়, তাদের দেশের ‘কিচেন বিদ্যা’তেও যে সমান পটু ভারত, সেই স্বাদও ঢেলে দিচ্ছে পশ্চিমা নেতাদের জিহ্বায়। এর মাঝে যে শুধুই রন্ধন বিদ্যার পাণ্ডিত্য দেখাল তা কিন্তু নয়, খাবারের এই আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুরে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের মেলবন্ধনের সুগন্ধও সমানভাবে ছড়িয়ে দিল বিশ্বমোড়লদের নাকে। 

বিদেশিদের সবার রুচিই মাথায় রেখে সব মিলিয়ে সাড়ে ৩ হাজার পদের খাবার তৈরি করছে দিল্লি। আর হাজার হাজার এই অতিথির রসনা তৃপ্তির ভার দিল্লির বিলাসবহুল হোটেলের ৭০০-র বেশি শেফের ওপর। এর মধ্যে ভারতীয় পরম্পরায় (সব রাজ্যের) তৈরি খাবার যেমন থাকছে, তেমনই থাকছে পাশ্চাত্যের মেনুও। সবই হচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ নজরদারিতে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ইন্ডিয়া টুডে।

দক্ষিণ ভারতের ইডলি-দোসা-উত্তপম, নারিকেল তেল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পদ, কাশ্মীর আর লখনৌয়ের নবাবি কাবাব, পাঞ্জাবের সরষে দা শাগ-মক্কিদা রুটি, মালাই দেওয়া লস্যির সঙ্গে থাকছে বাংলার সরষে ভাপা পদ্মার ইলিশ আর ডাব চিংড়ি। সঙ্গে থাকছে মিলেট, রাগি, বাজরার রুটও। মিষ্টির আইটেম থাকছে কয়েকশ, যার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে সুস্বাদু রসগোল্লা, নারকেল নাড়ুও। মেনুতে থাকছে সবার পছন্দের রুশ স্যালাদও। জি-২০তে আগত বিদেশিদের রসনাতৃপ্তির জন্য তৈরি মেনুতে ভারতীয় রেসিপির সঙ্গে মেশানো হয়েছে পাশ্চাত্যের ভাবধারাকেও, এমনটাই জানালেন দিল্লির বিখ্যাত হোটেলের সেলিব্রিটি শেফ মুস্তাক। তার দাবি, আপনারা পাও ভাজি খেয়েছেন, দোসা খেয়েছেন। আমরা সেই পাও ভাজি, দোসার সঙ্গে বিদেশি রেসিপির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে নতুন পদ তৈরি করেছি। আমরা নিশ্চিত, আমাদের প্রচেষ্টা বিদেশিদের মন জয় করবেই।

নেই ডিম-মাছ-মাংস : এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কিছুই জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে ডিম, মাছ বা মাংস থাকবে না। ভারতের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী নিরামিষ খাদ্যপদ পরিবেশন করা হবে। খাদ্যপদের মধ্য দিয়ে ভারতের বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হবে। আর নিরামিষ খাদ্যপদের প্রধান আকর্ষণ হতে চলেছে বাজরা থেকে তৈরি বিভিন্ন খাবার। ২০২৩ সালকে ভারত ‘ইয়ার অব মিলেটস’ বা ‘বাজরার বছর’ হিসাবে উদ্যাপন করছে। তার প্রতিফলন থাকবে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের অতিথিদের খাদ্যতালিকায়ও।

স্পেশাল স্ট্রিট ফুড : ভারতের স্ট্রিট ফুড সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। সেই কথা মাথায় রেখে স্ট্রিট ফুডেরও বিশাল আয়োজন রাখা হচ্ছে জি-২০ অতিথিদের জন্য। ফুচকা, চটপটি চাট, দই বড়া, সিঙারার মতো বিভিন্ন ভারতীয় স্ট্রিট ফুডের স্বাদ নিতে পারবেন আগত প্রতিনিধিরা।

ভারতীয় ‘ওয়েলকাম ড্রিঙ্কস’ : বিভিন্ন হোটেলে বিদেশি অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য বিশেষ ওয়েলকাম ড্রিঙ্কসেও থাকবে ভারতীয়ত্বের ছোঁয়া। ভারতীয় কফি, চা, মিষ্টি, কেক, চকোলেট দিয়ে স্বাগত জানানো হবে তাদের। হোটেলগুলোর খাদ্যপদেও ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় খাবার রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন শৈলির খাদ্যপদ থাকবে। হোটেলগুলোর ব্রেকফাস্টেও বাজরার তৈরি খাবার থাকছে। সব মিলিয়ে শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি ভারতের অনন্য রন্ধন ও খাদ্য সংস্কৃতির সঙ্গে বিদেশি অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে মোদি সরকার।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম