সম্প্রতি বিশ্ব আবহাওয়াবিদরা তাপপ্রবাহের ফলে সৃষ্ট অসহনীয় গরম ও জলবায়ু সংকটের ‘দুষ্টচক্র’ নির্দেশ করেছেন, যা বায়ুর গুণমানকে নষ্ট করছে। বার্ষিক বায়ুর গুণমান ও জলবায়ু সম্পর্কিত একটি বুলেটিনে দূষণজনিত সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়।
বুধবার বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিওএমও) জানায়, চরম তাপমাত্রা শুধু গরমের কারণ নয় বরং এটি দূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যারও কারণ। ডব্লিওএমও মহাসচিব অধ্যাপক পেটেরি তালাস বলেন, ‘তাপপ্রবাহ বায়ুর গুণমানকে আরও খারাপ করে মানুষের স্বাস্থ্যসহ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ওপর প্রভাব ফেলছে।’
‘ডব্লিওএমও-এর গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার ওয়াচ নেটওয়ার্কের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর লরেঞ্জ অ্যাব্রাডোর বলেন, ‘তাপপ্রবাহ ও দাবানল ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। দাবানলের ধোঁয়ায় রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা শুধু বায়ুর গুণমান ও স্বাস্থ্যকেই প্রভাবিত করে না বরং গাছপালা, বাস্তুতন্ত্র ও ফসলেরও ক্ষতি করে। বায়ুমণ্ডলে আরও কার্বন নির্গমন ও আরও বেশি গ্রিনহাউজ গ্যাসের দিকে পরিচালিত করে।’
আবহাওয়াবিদরা দেখায়, উত্তাপের তরঙ্গ যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমে দাবানল সৃষ্টি করে। দাবানলের ধোঁয়া ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া অধিদপ্তর আবারও উচ্চ তাপের সতর্কতা জারি করে। এই সপ্তাহে দেশটির ৬০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাপ সতর্কতার অধীনে রয়েছে। দাবানল ও অন্যান্য তাপপ্রবাহ সম্পর্কিত বিপদের ক্ষেত্রে মানুষ বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বুলেটিনে ব্রাজিলের কেস স্টাডি দেখানো হয়। যেখানে বলা হয়, শহুরে এলাকার মধ্যে পার্ক নির্মাণ ও গাছে রোপণ উভয়ই কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারে। বায়ুর গুণগত মান উন্নত করতে পারে। গার্ডিয়ান।