সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, মিয়ানমারে আটক গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি অসুস্থ এবং তাকে দেখার জন্য বাইরের একজন চিকিৎসকের অনুরোধ দেশটির সামরিক শাসকগোষ্ঠী প্রত্যাখ্যান করেছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
এছাড়া সু চির প্রতি অনুগত মিয়ানমারের ছায়া সরকারও মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে।
সু চির অসুস্থতা সম্পর্কে অবগত ওই সূত্রটি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অং সান সু চির মাড়ি বেশ ফুলে গেছে এবং এই কারণে তিনি ভালোভাবে খেতে পারছেন না। এছাড়া বমিও হচ্ছে এবং এর সঙ্গে মাথা ঘোরা ও সামান্য পরিসরে অজ্ঞান বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন।
নোবেলজয়ী মিয়ানমারের এই নেত্রীর বর্তমান বয়স ৭৮ বছর এবং বাইরের চিকিৎসকের পরিবর্তে কারাগার বিভাগের ডাক্তার দিয়ে বর্তমানে সু চির চিকিৎসা করা হচ্ছে।
রয়টার্স বলছে, বিষয়টি বেশ সংবেদনশীল হওয়ায় গ্রেফতারের ভয়ে নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই সূত্রটি।
এছাড়া মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকে বন্দি রয়েছেন সু চি। তবে নোবেল বিজয়ী এই নেত্রীকে গত জুলাই মাসের শেষের দিকে রাজধানী নেইপিদোর কারাগার থেকে মুক্ত করে তার বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
অং সান সু চিকে ইতোমধ্যেই ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অবশ্য মাসখানেক আগে সু চির ৫টি অপরাধ ক্ষমা করার ঘোষণা দেয় দেশটির জান্তা সরকার। এতে তার জেলের মেয়াদ ছয় বছর হ্রাস পায়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগই অস্বীকার করেছেন সু চি।