নাইজারের পর এবার মধ্য আফ্রিকার গ্যাবনে সেনা অভুত্থান। বুধবার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
অভ্যুত্থানের পর গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গো ওনডিম্বাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে গ্রেফতার করা হয়েছে তার এক ছেলেকে ।
গ্যাবনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত শনিবার। তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন আলী বঙ্গো ওনডিম্বা। তবে বিরোধীরা নির্বাচনটিকে ‘আলী বঙ্গো ও তার সমর্থকদের জালিয়াতির নির্বাচন’ বলে অভিহিত করেছে।
গ্যাবনের জাতীয় নির্বাচনি কর্তৃপক্ষ বঙ্গোকে বিজয়ী বলে ঘোষণা দেয় বুধবার সকালে। এর কিছুক্ষণ পরই ঘটে অভ্যুত্থান। রাজধানী লিব্রেভিলে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। অভ্যুত্থানের দিন সকালে প্রথমে একদল সেনা জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
এরপর সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে জানায়। ‘প্রজাতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হলো’ বলে ঘোষণা দেওয়া হয় বিবৃতিতে।
ঘোষণায় এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন, অপ্রত্যাশিত শাসনব্যবস্থার ফলে সামাজিক সংহতির ক্রমাগত অবনতি ঘটছে। আর তা দেশকে বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা গ্যাবনের জনগণ ও সামরিক বাহিনী কমিটি ফর ট্রানজিশন অ্যান্ড রেস্টোরেশন অব ইনস্টিটিউশনের পক্ষ থেকে বর্তমান শাসনের অবসান ঘটিয়ে শান্তি রক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিবৃতিতে গ্যাবনের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ থাকবে।’ তবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করলেও সাধারণ জনগণের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সমর্থন রয়েছে সেনাবাহিনীর। এমনকি তাদের পক্ষে জনগণকে রাস্তায় নামতেও দেখা যায়। দীর্ঘ ৫৬ বছর ধরে গ্যাবন শাসন করে আসছিল বঙ্গো পরিবার।
১৯৬৭ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশের ক্ষমতায় থাকা ওমর বঙ্গোর ছেলে আলী বঙ্গো ওনডিম্বা। বাবার শাসন শেষ হওয়ার পরই ক্ষমতায় বসেছিলেন তিনি।