ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার ডোমজুড় থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় এক তরুণীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহতের নাম অনুশ্রী হাজরা। আর অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম চন্দন মাঝি।  

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোমজুড় থানার ঝালুয়াবেড় এলাকায় নির্জন রাস্তা পড়েছিল ওই তরুণীর লাশ।  তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। 

খবর পেয়ে রোববার রাতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। তার পাশে একটি ব্যাগ পড়েছিল। সেই ব্যাগ থেকে নিহতের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে বনিবনা ছিল না। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। এ ঘটনায় চন্দনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবার তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন। এরপর সোমবার চন্দন মাঝিকে আটক করে পুলিশ। 

পরিবার জানিয়েছে, দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকে তাদের সম্পর্কে ভাঙন শুরু হয়। বিয়ে বিচ্ছেদের মামলাও চলছিল। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সইতে না পেরে ছয় মাস আগে বাবার বাড়িতে চলে যান অনুশ্রী। একটি ওষুধ সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি নেন তিনি। পাশাপাশি বাচ্চাদের নাচ শেখাতেন।

রোববার রাতে অনুশ্রী বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য সাইকেল নিয়ে বের হন। বাড়ি ফেরার আগে তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কথা হয়। কিন্তু তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরে পুলিশ ওই এলাকার একটি নির্জন রাস্তা থেকে অনুশ্রীর লাশ উদ্ধার করে। 

পুলিশের ধারণা, বিয়ে বিচ্ছেদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন চন্দন। এর জেরেই তাকে খুন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।