হলিউড-বলিউডের সিনেমার চেয়েও কম বাজেটে চাঁদে ভারত
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম
রাশিয়া কয়েক গুণ বেশি টাকা খরচ করে যা পারেনি, অনেক কম খরচে সেই কাজ করে দেখিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তবে সবচেয়ে লক্ষণীয় হলো চন্দ্রযান-৩ এর বাজেট।
হলিউড-বলিউডের অসংখ্য ছবির বাজেটের ধারেকাছেও নেই চন্দ্রযান-৩। ব্যবসা সফল অবতার নির্মাণে খরচ হয়েছিল ৮২৫ কোটি রুপি। বলিউডের আদিপুরুষের পেছনে খরচ হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি রুপি। চন্দ্রযান-৩ অভিযানে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মোট খরচ ৬১৫ কোটি রুপি। ইন্ডিয়া টুডে, আনন্দবাজার পত্রিকা।
দীর্ঘ ৪০ দিনের সফল যাত্রা বুধবার সফল হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে চন্দ্রযান-৩। আপামর ভারতবাসী যে দিনটা দেখতে চেয়েছিল, ইসরো তা দেখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ইসরোর এই সাফল্যের নেপথ্যে চাবিকাঠি কী? কোন মন্ত্রে তা করে দেখাল ভারত? খরচইবা এত কম হলো কীভাবে?
চার বছর আগে চন্দ্রযান-২-এর জন্যও এর চেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হয়েছিল ইসরোকে। চন্দ্রযান-২-এর খরচ ছিল ৯৭৮ কোটি রুপি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই অভিযান প্রায় ব্যর্থ হয়। এবারের অভিযানে ৩০০ কোটির বেশি রুপি বাঁচিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।
চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইসরো যে কঠোর পরিশ্রম করেছে, এই পরিসংখ্যান থেকেই তা স্পষ্ট। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। এই চার বছরে ইসরোর কাজের দক্ষতা বেড়েছে বলেই কম বাজেটে সফল অভিযান সম্ভব হয়েছে। টাকা বাঁচানোর জন্য অবশ্য অন্য পরিকল্পনাও করেছিল ইসরো।
তারা অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ পথ বেছে নিয়েছিল চাঁদে পৌঁছানোর জন্য। সে কারণেই অভিযানটি সম্পন্ন হতে এত সময় লেগেছে। মূলত, জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যেই চাঁদে পৌঁছানোর দীর্ঘ পথ বেছে নিয়েছিল ইসরো। চাঁদে যাওয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবী এবং চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ বল কাজে লাগিয়েছে সংস্থাটি।
সে কারণেই পৃথিবীর কক্ষপথে প্রথম ১৭ দিন এবং চাঁদের কক্ষপথে পরবর্তী ২৩ দিন কাটিয়েছে চন্দ্রযান-৩।
চাইলে আরও কম সময়ের মধ্যে আরও কম পথ অতিক্রম করে মহাকাশযানটিকে চাঁদে পাঠানো যেত। কিন্তু অর্থ সাশ্রয় করতে ইসরো এই কৌশল অবলম্বন করেছিল।
শুধু সাশ্রয় নয়, অর্থ জোগাড়েও কৌশলী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে ইসরো। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান প্রতিমন্ত্রী জীতেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিভিন্ন বেসরকারি এবং বিদেশি এজেন্সির সঙ্গে কাজ করে প্রায় ২৮৮ কোটি রুপি রাজস্ব আদায় করেছে ইসরো।