প্রিগোজিনকে বহনকারী বিমানটিতে আসলে কী ঘটেছিল?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ১২:৫৬ পিএম
ফাইল ছবি
মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবাগগামী যে ব্যক্তিগত বিমানটি রাশিয়ার তিভিয়ের অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে, তাতে ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ছিলেন বলে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কুশিওনকেনা গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ১০ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটির যাত্রীদের মধ্যে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন ও তার প্রধান সহচর দিমিত্রি ইউতকিন ছিলেন।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর উত্তরে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির যাত্রীদের মধ্যে প্রিগোজিনের নাম থাকার কথা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্রদের একজন ছিলেন প্রিগোজিন। ২০২২ সালে রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেইনে আক্রমণ শুরু করার পর প্রিগোজিনের বেসরকারি সামরিক কোম্পানি যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
কিন্তু চলতি বছরের জুনে রাশিয়ার সামরিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে প্রিগোজিন তার সেনাদের মস্কো যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, এতে পুতিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক খারাপ হয়। প্রিগোজিনের ওই বিদ্রোহ ২৪ ঘণ্টারও কম সময় ধরে চলেছিল।
প্রিগোজিনকে বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত হওয়া সম্পর্কে এ পর্যন্ত যা জানা গেছে তা বিবিসির এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্মকর্তারা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এমব্রায়ার লিগ্যাসি বিমানটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাওয়ার পথে বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মস্কোর উত্তরে তিভিয়ের অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে।
কিন্তু ওয়াগান গ্রুপের টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ওই বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে; যদিও তারা তাদের দাবির বিষয়ে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।
আরও পড়ৃুন প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য দিল রুশ টিভি
ওই বিমানটিতে সাত যাত্রী ও তিন ক্রু ছিলেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, তারা সবাই নিহত হয়েছেন। সব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রিগোজিনের একটি কোম্পানির নামে নিবন্ধিত লিগ্যাসি বিমানটি উড্ডয়নের পর আকাশে আধ ঘণ্টারও কম সময় ছিল বলে জানা গেছে। বিমানটি ভূমিতে পড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় এটিতে আগুন ধরে যায়।
বিবিসির যাচাই করা ভিডিও ফুটেজে একটি বিমানকে রাশিয়ার কুশিওনকেনার আকাশ থেকে পড়তে দেখা গেছে।
প্রিগোজিনের মালিকানাধীন দ্বিতীয় আরেকটি বাণিজ্যিক জেট বিমান নিরাপদে মস্কোতে অবতরণ করেছে বলে গ্রে জোন জানিয়েছে।