ভিয়েনায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
রাকিব হাসান রাফি, স্লোভেনিয়া থেকে
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৩৮ পিএম
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। এতে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।
সকালে দূতাবাস এবং বাংলাদেশ ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মধ্য দিয়ে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। বিকাল ৫টায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্বের শুরু হয়।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সেখানে জাতির পিতা ও ১৫ আগস্টের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা পরম শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব শহিদদের স্মরণ করেন। তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক এবং তার ঐতিহাসিক অবদান তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান তার বক্তব্যে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সব শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কর্মময় সংগ্রামী জীবন, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার বর্ণনা দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের অল্প সময়ের মধ্যেই স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ করেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিবেদিত তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সব শহিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে আপ্যায়নের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।