রাজধানী নিয়ামির অদূরে একটি ফরাসি সামরিক ঘাঁটির বাইরে বিক্ষোভ করেছেন নাইজারের হাজার হাজার মানুষ। দেশে ফ্রান্সের সামরিক হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার করার জন্য প্যারিসের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
শুক্রবার নিয়ামির কাছাকাছি ফরাসি সেনা ঘাঁটিটি ঘিরে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। তারা ‘ফ্রান্স ধ্বংস হোক, ইকোওয়াস নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দেন। পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ দেশ নিয়ে গঠিত আঞ্চলিক জোট ইকোওয়াস নাইজারের সামরিক জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনতে বলপ্রয়োগের হুমকি দেওয়ার পর এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলো।
নাইজারের বিক্ষোভকারীরা বলছেন, ফ্রান্সের প্ররোচনায় ইকোওয়াস সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করেছে। বিক্ষোভকারীদের কারও কারও হাতে রাশিয়া ও নাইজারের পতাকা দেখা যায়। তারা সামরিক অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আব্দুর রহমান তিয়ানির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন।
গত ২৬ জুলাই নাইজারের প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ বাজুমকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর জেনারেল তিয়ানি নিজেকে দেশটির নেতা ঘোষণা করেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাজুমকে রাজধানী নিয়ামিতে তার বাসভবনে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
ফ্রান্স ১৯৬০ সাল পর্যন্ত পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে উপনিবেশ স্থাপন করে রেখেছিল। ওই বছর স্বাধীনতা অর্জন করা সত্ত্বেও ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশে এখনো সেনা মোতায়েন করে রেখেছে প্যারিস। নাইজারে বর্তমানে ১,৫০০ ফরাসি সেনা মোতায়েন রয়েছে।
দেশটিতে আমেরিকা ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের সৈন্যও মোতায়েন রয়েছে। নাইজারের সামরিক অভ্যুত্থানের নেতারা গত সপ্তাহে ফ্রান্সের সঙ্গে সামরিক চুক্তি বাতিল করে দিয়েছেন। গত ৩০ জুলাই নিয়ামির ফরাসি দূতাবাসের বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভের জের ধরে ফ্রান্স নাইজার থেকে তার বেসামরিক নাগরিকদের প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছে।