পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার (৫ আগস্ট) লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে দেশটির একটি সেশন আদালত তাকে তোষাখানা মামলায় অভিযুক্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি এবং এক লাখ রুপি জরিমানা করা হয়। এর পরই পিটিআই প্রধানকে গ্রেফতার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তোষাখানা মামলা কী
তোষাখানা মানে সরকারি কোষাগার। পাকিস্তানে বিদেশি নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া যে কোনো উপহার সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে, ইমরান খান তার প্রাপ্তা উপহার সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেছেন। এ ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, তাকে তোষাখানা মামলা বলা হচ্ছে। তোষাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, সাংবিধানিক পদে বসা প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য।
আরও পড়ুন
ইমরান খানের বিরুদ্ধে করা আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা কী?
পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ২০১৮ সালে ইমরান খান যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি কোনো নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ইমরান খানের যুক্তি ছিল যে, এটি করলে অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলবে।
কিন্তু পরবর্তীতে ক্ষমতাসীন জোটের কিছু আইনপ্রণেতা জাতীয় পরিষদের স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফের কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয় যে, তার প্রাপ্ত উপহারের বিবরণ তোষাখানায় হস্তান্তর করা হয়নি। সেগুলো বিক্রি করে অর্থ আয় করেছেন। পরে পাকিস্তানের স্পিকার তা প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার কাছে পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুন
তোশাখানা মামলায় অভিযুক্ত ইমরান খান
এর পর গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ইমরান খান নোটিশ পান। তিনি এই নোটিশের জবাব দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি যে চারটি উপহার পেয়েছিলেন তা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। উপহারের মধ্যে একটি গ্রাফ, একটি রোলেক্স ঘড়ি, এক জোড়া কাফলিঙ্ক, একটি দামি কলম, বেশ কয়েকটি ধাতব জিনিসপত্র এবং একটি আংটি ছিল।