Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

২০৫০ সালের মধ্যেই শুক্র গ্রহে ‘ভাসমান মানববসতি’!

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩৮ পিএম

২০৫০ সালের মধ্যেই শুক্র গ্রহে ‘ভাসমান মানববসতি’!

সম্প্রতি আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ধ্বংস হয় টাইটান। এতে থাকা পাঁচজনের সলিলসমাধি হয়েছে আটলান্টিকের তলদেশে। 

ওই পাঁচজনের মধ্যে ছিলেন টাইটানের মালিক ওশানগেট কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টকটন রাশ। এবার ওশানগেটের আরেক প্রতিষ্ঠাতা গুইলারমো সোহানলেইন আরও এক দুঃসাহসিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন। ইউএসএ টুডে।

সাম্প্রতিক সময়ে এক সাক্ষাৎকারে ওশানগেটের এই সহপ্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে অন্তত এক হাজার মানুষকে শুক্র গ্রহে নিতে চান তারা। ওই গ্রহে ‘ভাসমান মানববসতি’ তৈরি করতে চান তারা। 

সোহানলেইন আরও জানান, টাইটান ট্র্যাজেডির মতো দুর্ঘটনা সত্ত্বেও মানবতার সীমাবদ্ধতার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত। আরব নিউজ। 

ওশানগেট ছাড়াও সোহানলেইন হিউম্যানস টু ভেনাস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান। কোম্পানির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটা একটি অলাভজনক সংস্থা। তারা শুক্র গ্রহে দীর্ঘমেয়াদে মানুষের গন্তব্যের অন্বেষণ করার কাজে নিবেদিত। 
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে শুক্র গ্রহে বসবাসের জন্য এক হাজার মানুষকে পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন সোহানলেইন। তিনি বিজনেস ইনসাইডারকে বলেছিলেন যে, তার পরিকল্পনাটি পাগলামি নয়। বরং এটি ২০৫০ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে দশ লাখ মানুষ নেওয়ার চেয়ে কম উচ্চাভিলাষী। 

গুইলারমো সোহানলেইন ২০০৯ সালে স্টকটন রাশের সহযোগিতায় ওশানগেটের প্রতিষ্ঠা করেন। যদিও ২০১৩ সালে তিনি সংস্থা ছেড়ে দেন। বর্তমানে তিনি হিউম্যান টু ভেনাসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তার লিঙ্কডইনের প্রোফাইল থেকে জানা গেছে যে, তিনি শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলে একটি স্থায়ী মানুষের বসতি গড়ে তোলার ওপর ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজ শুরু করতে চলেছেন। 

খবরে বলা হয়েছে, শুক্র সূর্যের খুব কাছের গ্রহ হওয়ার জন্য এখানের তাপমাত্রা অনেকটাই বেশি। এছাড়া শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণও বেশি। এছাড়া সেখানকার অনেক বড় সমস্যা হলো-অ্যাসিড বৃষ্টি। যদিও গুইলারমো সোহানলেইন এসব সমস্যা সমাধান সম্ভব বলে জানিয়েছেন। 

তিনি আশাবাদী যে, সঠিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাহায্যে শুক্র গ্রহে একটি ভাসমান বসবাসের জায়গা তৈরি করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখ মানুষের বসতি স্থাপনের চেয়েও শুক্র গ্রহে বসতি স্থাপন অনেক সহজ। তিনি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ওশানগেটের টাইটানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা ভুলে যেতে অনুরোধ করেছেন। 

তিনি জানিয়েছেন, ওশানগেটের মতো হিউম্যান টু ভেনাসও বেসরকারিভাবে পরিচালিত হবে এবং এর উদ্দেশ্য হবে খুব সস্তায় মহাকাশ পাড়ি দেওয়া। শুক্র গ্রহের বায়ুমণ্ডলে কঠোর পরিস্থিতি সহ্য করতে সক্ষম একটি স্পেস স্টেশন ডিজাইন করার মাধ্যমে গুইলারমো শুক্র গ্রহে মানুষের বসবাসের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে চান। সোহানলেইন জানান, পৃথিবীর বাইরে মানুষের বসতি স্থাপন তার শৈশবকালের স্বপ্ন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম