ঝাড়–ঝুড়ি, সেলাই কাজ সবই শেখানো হয় এই স্কুলে
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৯ পিএম
পাঠশালায় পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে নেপালের রোলপা জেলার ধাবাং গ্রামের একটি বিদ্যালয়। নাম আধারভুত বেসিক স্কুল। যেখানে পাঠ্য বইয়ের বাইরের কার্যক্রমের অংশ হিসাবে শিক্ষার্থীদের হস্তশিল্প শেখানো হয়।
শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তুলতেই এমন পদক্ষেপ নেয় বিদ্যালয়টি। প্রতি শুক্রবার ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হস্তশিল্পের পাঠ দেওয়া হয়। ১৪ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে এ উদ্যোগ। ঝাড়–, ঝুড়ি, পাটের চাবুক থেকে শুরু করে সেলাই কাজ শেখানো হয়।
শুধু হস্তশিল্পই নয়, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের গানও শেখানো হয়। গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প বাঁচিয়ে রাখতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বিশাল কেসি। নেপাল টাইমস।
হস্তশিল্প এই অঞ্চলের প্রাচীন পেশা। যা অতীতে বেশ জনপ্রিয় ছিল। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যগত দক্ষতা ভুলে যাচ্ছে বলে মনে করেন কেসি। তাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে আধুনিক সময়েও হস্তশিল্প তাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসাবে বেঁচে থাকে।
বিদ্যালয়টিতে নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৪০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২১ জন ছেলে বয়ন শিল্প ক্লাসে ভর্তি হয়েছে। সেলাই কাজ শিখছে অন্তত ৩০ জন মেয়ে। ২০ জন ছেলে ও মেয়ে উভয়ই গানও শিখছে।
কেসি বলেন, ‘বিদ্যালয় কারুশিল্প ও অন্যান্য শিল্প শেখানোর জন্য দক্ষ স্থানীদের নিয়োগ দিয়েছে।’ বয়ন শিল্পের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় ওই অঞ্চলের হিমা বালি ও খড়কা বাহাদুর খত্রীকে। আরও দুই শিক্ষক জুন কুমারী বিকে ও অনিতা পুন শেখান সেলাইয়ের কাজ। স্থানীয় শিল্পী শের বাহাদুর ঘর্তি মাগান সংগীতের পাঠ দেন। বালি ও খত্রী উভয়ের সন্তান ওই বিদ্যালয়ে পড়ে।
বালি বলেন, আমাদের সন্তানরা পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি এমন দক্ষতা শিখছে যা আমাদের ঐতিহ্যকে ধরে রাখার সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী জীবনে তাদের আয়-রোজগারের সুযোগও দেবে।’ গানের শিক্ষক মাগার বলেন, শিল্পগুলো আয়ত্ত করতে পারলে তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি রক্ষা করা সহজ হবে। এ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
প্রধান শিক্ষক কেসি বলেন, ‘আমি খুবই খুশি যে আমাদের শিক্ষার্থীরা নতুন চ্যালেঞ্জ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।’ তাদের তৈরি হস্তশিল্প স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। বিক্রির টাকা অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি কেসি