প্রেমের টানে পাকিস্তান যাওয়া সেই ভারতীয় তরুণী কেমন আছেন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৭:৫৭ পিএম
প্রেমের টানে পাকিস্তানে ছুটে গিয়েছেন এক ভারতীয় তরুণী। অঞ্জু নামের ৩৪ বছর বয়সি ওই নারী বর্তমানে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের আপার দির জেলায় রয়েছেন। তবে পাকিস্তানে যাওয়ার পর তিনি সুখেই আছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
পাখতুনখাওয়ার আপার দির জেলা পুলিশ অফিসার (ডিপিও) মুশতাক খান জানান, প্রেমের টানে পাকিস্তানে আসা ওই নারী তার নতুন বাড়িতে সুখেই বসবাস করছেন।
তিনি জানান, স্থানীয়রা অঞ্জুকে উপহার দিচ্ছেন, তিনি এখানে হাসিখুশিতেই আছেন।
জিও টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- অঞ্জুর জন্ম উত্তর প্রদেশের কাইলোর গ্রামে হলেও রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় থাকতেন তিনি। ফেসবুকে পরিচয় হওয়া তার পাকিস্তানি বন্ধুর নাম নাসরুল্লাহ। অঞ্জু তার এই পাকিস্তানি বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের আপার দির জেলায় আসেন।
সম্প্রতি প্রেমের টানে পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন সীমা হায়দার নামে এক নারী। পরে তাকে নিয়ে ভারতে সৃষ্টি হয় তোলপাড়। এর মধ্যেই ভারতীয় নারী অঞ্জুর সীমান্ত পার হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার ঘটনা ঘটল।
শুরুতে জানা গিয়েছিল, অঞ্জু একজন অবিবাহিত নারী; কিন্তু জেলা পুলিশ অফিসার জানান, অঞ্জু পুলিশকে বলেছেন, তিনি ভারতে তার স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়েছেন।
তবে অঞ্জু প্রেমের টানে নয়াদিল্লি থেকে পাকিস্তানে এসেছেন এবং এখানে সুখে বসবাস করছেন বলেন পুলিশ কর্মকর্তা মুশতাক খানের দাবি।
অপরদিকে প্রেমের টানে ভারতে যাওয়া পাকিস্তানি নারীর সঙ্গে বিপরীত আচরণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি প্রেমের টানে সীমান্ত অতিক্রম করা সীমা ভারতীয় এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন।
খাইবার পাখতুনখাওয়া পুলিশ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, অঞ্জুর পাকিস্তানে আসার ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে। তিনি এক মাসের ভিজিট ভিসায় পাকিস্তানে এসেছেন এবং তার ভ্রমণ মংক্রান্ত সমস্ত নথি বৈধ।
জেলা পুলিশ অফিসার আরও জানান, এ মুহূর্তে অঞ্জু মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে চান না। এছাড়া আপার দিরের যে বাসায় তিনি অবস্থান করছেন সেখানে তার প্রেমিক নাসরুল্লাহ উপস্থিত নেই। পরিবারের সদস্যদের কথামতো তিনি (নাসরুল্লাহ) কাজে গেছেন।
মুশতাক খান বলেন, অঞ্জু আসার পর থেকে নাসরুল্লাহর বাসায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অঞ্জুর মতে, ২৯ বছর বয়সি নাসরুল্লাহর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ফেসবুকে শুরু হয়েছিল, যা পরে প্রেমে রূপ নেয়। তিনি নাসরুল্লাহকে খুব ভালোবাসেন এবং তাকে ছাড়া বাঁচবে না। আর এজন্যই তিনি দেশ ছেড়ে পাকিস্তানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ভিজিট ভিসা নিয়ে আপার দির জেলায় যান।