
প্রিন্ট: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৪ এএম
সুদানে সংঘর্ষে ১৬ বেসামরিক লোক নিহত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৩, ১১:২১ এএম

সুদানে ক্ষমতা দ্বন্দে হাজার হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে গেছে
আরও পড়ুন
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে সহিংস ঘটনা।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার স্থানীয় একটি আইনজীবী ইউনিয়ন জানিয়েছে, দক্ষিণ দারফুর রাজ্যের রাজধানী নিয়ালা শহরে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে।
দারফুর বার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, লড়াইয়ের কারণে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যসহ ১৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। ওই পরিবারের আরও এক সদস্য আহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ছাড়া পশ্চিম দারফুরে লোকজনকে লক্ষ্য করে স্নাইপার হামলার খবর পাওয়া গেছে। চাদের কাছাকাছি অবস্থিত দারফুরের রাজধানী এল-জেনিনাসহ বেশ কিছু এলাকায় বেসামরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। সংঘাত থেকে বাঁচতে কয়েক হাজার বাসিন্দা সীমান্ত অতিক্রম করে পালিয়ে গেছে।
দারফুর বার অ্যাসোসিয়েশন আরও জানিয়েছে, একজন স্নাইপারের গুলিতে অন্তত একজন নিহত হয়েছে।
হাজার হাজার মানুষ পশ্চিম দারফুর অঞ্চল থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ চাদে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায় চাদে শরণার্থীর চাপ বাড়ছে। তারা বলছে, জাতিসত্তার ভিত্তিতে আরএসএফের সঙ্গে যুক্ত মিলিশিয়ারা তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে সুদানের প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেলরা ক্ষমতার জন্য লড়াই শুরু করেন। সশস্ত্র দুই বাহিনীর সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষ সুদান ছেড়ে পালিয়ে গেছে। দেশটির ভেতর বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও তিন লক্ষাধিক বাসিন্দা। দ্রুত এ সংঘাতের সমাপ্তি না হলে ‘সর্বাত্মক বিপর্যয়’ নেমে আসতে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।