যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অষ্টমবারের মতো বাবা হলেন। তার স্ত্রী ক্যারি মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে নবজাতককে কোলে নিয়ে আছেন, এমন একটি ছবি পোস্ট করে এ তথ্য জানান।
ক্যারি জনসন তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্র্যাঙ্ক আলফ্রেড ওডিসিয়াস জনসন, তোমাকে এই পৃথিবীতে স্বাগত। ৫ জুলাই সকাল সোয়া নয়টার দিকে সন্তানের আগমন ঘটে।’ সেখানে তিনি আরো লিখেছেন, ‘আমি আমার ঘুমন্ত সন্তানের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করি। ওই সময়টায় তার মুখের বুদ্বুদ ওঠে। আমার বড় দুই সন্তান তাদের ছোট ভাইকে পেয়ে আনন্দ উত্তেজনায় জড়িয়ে ধরে, যা সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য।’
৫৯ বছরের বরিস জনসন ও ৩৫ বছরের ক্যারির ৩ ও ২ বছর বয়সী দুটি সন্তান আছে। বরিস ও ক্যারির প্রথম সন্তান উইলফ্রেড ২০২০ সালের এপ্রিলে জন্ম নেয়। আর পরের সন্তান মেয়ে রোমির জন্ম হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে।
কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক মিডিয়া উপদেষ্টা ক্যারিকে দুই বছর আগে বিয়ে করেন বরিস।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে রোমির জন্মের আগে ইউএস টিভ নেটওয়ার্ক এনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস জানিয়েছিলেন, ওই সময় পর্যন্ত তার ছয় সন্তান রয়েছে।
২০২১ সালের মে মাসে এ যুগল বিয়ে করেন। ২০২০ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী ম্যারিনা হোয়েলারের সঙ্গে বরিস জনসনের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। ওই সংসারে বরিসের চারটি সন্তান আছে। এ ছাড়া অন্য এক প্রেমিকার সঙ্গেও বরিসের একটি কন্যাসন্তান আছে। তবে তার প্রথম স্ত্রী অ্যালেগ্রা মোস্টিন-ওয়েনের সংসারে কোনো সন্তান নেই।
২০২০-২১ সালে করোনা মহামারি চলাকালে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি ছিল। তখন লকডাউনের বিধি ভেঙে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস নিজ কার্যালয়ে একাধিক পানাহারের আয়োজন করেন, যা নিয়ে তাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এ বিষয়টিই ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত। এসব অভিযোগকে কেন্দ্র করে বরিসকে ২০২২ সালের ৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হয়। পরে ‘পার্টিগেট কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় দেওয়া এক তদন্ত প্রতিবেদনের জেরে গত ৯ জুন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) পদ থেকেও পদত্যাগ করেন বরিস জনসন।