এআই বিপ্লবে ঝুঁকিতে বিশ্বের চাকরি বাজার

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৩, ১১:০৪ পিএম

বিশ্বব্যাপী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দ্রুত বিকাশ ঘটছে। কোনো প্রবন্ধ অথবা ছবি তৈরি থেকে শুরু করে মেডিকেল পরীক্ষায়ও পাশ করতে সক্ষম এআই।
এমনকি পুরো কর্মক্ষেত্রকে বদলে দিতে পারে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার স্বয়ংক্রিয় শক্তি। এআই বিপ্লবে ঝুঁকির মুখে বিশ্বের চাকরির বাজার। এআই এর স্বয়ংক্রিয় শক্তিতে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের ২৭ শতাংশ কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আসন্ন ‘এআই বিপ্লব’ আর তার প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে জরুরি প্রস্তুতি নিতে হবে।
মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা ওইসিডি’র ‘কর্মসংস্থান আউটলুক ২০২৩’ নামের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই এর অনেক সম্ভাব্য সুবিধা থাকা সত্বেও এর উলেখযোগ্য কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। যদিও ‘এখন পর্যন্ত’ কর্মসংস্থানের ওপর এর উলেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব খুব কম। এসব ঝুঁকির জরুরি সমাধান প্রয়োজন বলে জানায় সংস্থাটি।
ওইসিডি’র কর্মসংস্থান, শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক পরিচালক স্টেফানো স্কারপেট্টা একটি সম্পাদকীয়কে লিখেন, এআই সাধারণত বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবহার করা হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো নতুন প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে আর তাদের অনেকেই কর্মীদের প্রতিস্থাপন করতে অনিচ্ছুক বলে মনে হচ্ছে।’ তবে প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনা, মজুরি হ্রাস ও চাকরি হারানোর ভয় বাড়ছে এটিও স্পষ্ট বলে জানান তিনি।
স্কারপেট্টা আরও বলেন, ডেটা সুরক্ষা, গোপনীয়তা, স্বচ্ছতা, ব্যাখ্যাযোগ্যতা, পক্ষপাত ও বৈষম্য, স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ আর জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে গুরুতর নৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে এআই এর ব্যবহার। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা ও বিশ্বস্ত উপায়ে এআই এর ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ওইসিডি’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এআই ‘ক্লান্তিকর অথবা বিপজ্জনক কাজগুলো’ কমিয়ে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা উন্নত করতে পারে। কাজের গতি বৃদ্ধি করতে পারে।