পুরোনো রাসায়নিক অস্ত্রের ভান্ডার ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র : বাইডেন

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, মজুত করা কয়েক দশকের পুরোনো রাসায়নিক অস্ত্র সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শুক্রবার এক ঘোষণায় এ কথা জানান তিনি। তিন দশক আগের কেমিক্যাল উয়েপনস কনভেনশনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কেনটাকিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর সুবিধা ব্লু- গ্যাস আর্মি ডিপো সম্প্রতি ৫০০ টন প্রাণঘাতী রাসায়নিক এজেন্ট নির্মূল করার চার বছরের কাজ শেষ করার পর ঘোষণাটি আসে। বিবিসি, এএফপি।
বাইডেন বলেন, ‘আমি ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত যে, যুক্তরাষ্ট্র মজুত করা সর্বশেষ অস্ত্র ভান্ডারটিও নিরাপদে ধ্বংস করা হয়েছে। এ পদক্ষেপে রাসায়নিক অস্ত্রের ভয়াবহতা থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে দেশটি আরও এক ধাপ এগিয়েছে বলে মনে করেন বাইডেন। কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে অস্ত্র ধ্বংকারী সর্বশেষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যদিও কিছু দেশ গোপনে অস্ত্র মজুত রেখেছে বলে ধারণা করা হয়।
ইউএস আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, ১৯৯০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রায় ২৮ হাজার ৬০০ টন রাসায়নিক অস্ত্রের মজুত ছিল। কয়েক দশক ধরে ভিক্সল, মাস্টার্ড গ্যাস ও সারিন গ্যাসবাহী আর্টিলারি প্রজেক্টাইল ও রকেটসহ রাসায়নিক অস্ত্রে মজুত ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এ ধরনের অস্ত্রের ব্যবহারে ভয়াবহ পরিণতির সৃষ্টি হয়। তারপর থেকেই অস্ত্রগুলো নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। সমালোচনার পরও অনেক দেশ অস্ত্রগুলোর ব্যবহার অব্যাহত রাখে। রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন ১৯৯৩ সালে গঠন হয়। চুক্তিটি কার্যকর হয় ১৯৯৭ সালে। যুক্তরাষ্ট্রকে সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করতে এই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। অবশেষে সব অস্ত্র ধ্বংসের পর এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে অভিহিত করেন রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধ সংস্থার প্রধান ফার্নান্দো আরিয়াস।