তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের দাবিকে সমর্থন করে আঙ্কারা। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান করতে শান্তি প্রচেষ্টায় ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এরদোগান বলেন, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, দুপক্ষেরই শান্তি আলোচনায় ফিরে যাওয়া উচিত। তিনি বলেন, শান্তি প্রচেষ্টায় কোনো পরাজয় থাকে না।
জেলেনস্কি তার প্রতি সমর্থন জানানোয় এরদোগানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার লিথুনিয়ার ভিলনিয়াস শহরে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। এরদোগানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার পর এক টুইটবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। দেশ, জনগণ এবং স্বার্থ রক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
এদিকে শুক্রবার ইউক্রেনে জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ মিশন (এইচআরএমএমইউ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০০ শিশুসহ ৯ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
তবে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা এর আগে বলেছেন, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এইচআরএমএমইউর উপ-প্রধান নোয়েল ক্যালহোন বলেন, আজ আমরা যুদ্ধের আরেকটি ভয়ংকর মাইলফলক চিহ্নিত করেছি; যা ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের একটি ভয়াবহ সংখ্যা।
পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি বলছে, ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর চলতি বছরের প্রথম কয়েক মাসে হতাহতের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও মে এবং জুনে আবারো বেড়েছে। গত ২৭ জুন চার শিশুসহ ১৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। পূর্ব ইউক্রেনের ক্রামাতোরৎস্ক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয় তারা।
গত শুক্রবার পশ্চিমাঞ্চলীয় লাভিভ শহরে একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে হামলায় কমপক্ষে ৩৭ জন আহত হয়। ইউক্রেনে প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া।