রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে ‘ক্লাস্টার বোমা’ দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের একশরও বেশি দেশ বিপজ্জনক এ যুদ্ধাস্ত্রটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তা সত্ত্বেও ইউক্রেনীয়দের কাছে ক্লাস্টার বোমা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার ইউক্রেনের জন্য নতুন অস্ত্র সহায়তা ঘোষণা করবে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার ঘোষণাও আসবে। এখন ১৫৫ মিলিমিটার হাউটজার কামানে ব্যবহারের জন্য ক্লাস্টার বোমা দেওয়া হবে। খবর আলজাজিরার।
নাম গোপন রাখার শর্তে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তি সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের নিরাপত্তা বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনসহ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কয়েকজন কাছের লোক— ইউক্রেনে এ অস্ত্র পাঠানোর ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। তারা প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন, ক্লাস্টার বোমা রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দিতে কার্যকর হবে।
ক্লাস্টার বোমা যে কারণে এত বিপজ্জনক
ক্লাস্টার বোমা যখন কামান ও বিমান বা যে কোনো কিছু থেকে ছোড়া হয়, তখন সঙ্গে সঙ্গে এর ভেতর থেকে আরও ছোট ছোট বোমা বের হয়। যেগুলোতে আবারও বিস্ফোরণ হয়।
কিন্তু ক্লাস্টার বোমার ভেতরে থাকা ছোট বোমার সবগুলো সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরিত নাও হতে পারে। এতে করে যুদ্ধের সময় ও যুদ্ধের পরবর্তী সময়েও এগুলো বেসামরিক সাধারণ মানুষদের জন্য বড় ঝুঁকির কারণ হবে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধে এই বিপজ্জনক ক্লাস্টার বোমা ব্যবহৃত হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ দুই দেশকেই বোমাটি ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, রাশিয়া এ যুদ্ধে অত্যধিক পরিমাণ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে। এতে অনেক বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে জুনের শুরুতে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। তবে তাদের এ পালটা আক্রমণ প্রত্যাশা অনুযায়ী সফলতা পায়নি। কারণ রাশিয়ার সেনারা বেশ শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ বাহিনীকে হটাতে তাদের জন্য এখন সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র হবে ক্লাস্টার বোমা। এ বোমা ব্যবহার করে পরিখা খনন করে অবস্থান নেওয়া রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়া যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাও জানিয়েছেন, যুদ্ধের এখন যে পরিস্থিতি তাতে ক্লাস্টার বোমা ১০০ শতাংশ প্রয়োজন।’