দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে শেকড়ে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে চীন। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এ আমন্ত্রণ জানান। পূর্বাঞ্চলীয় শহর কিংডাওয়ের এক সম্মেলনে এ বক্তব্য দেন তিনি। প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের শাসনে চীনের আঞ্চলিক প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। চীনের এই ‘ঘোড়ার গতি’র লাগাম টানতে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ়ো করছে যুক্তরাষ্ট্র। চলমান সে মেলবন্ধনের প্রতিক্রিয়াতেই একই অঞ্চলের দুই কাছের প্রতিবেশীর উদ্দেশে এ বার্তা দিল চীন।
মঙ্গলবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্মেলনে ওয়াং তিনটি দেশের জাতিগত ঐক্যের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়রা চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরীয়দের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। আমাদের চুলগুলো যতই হলুদ করে নাক পরিবর্তন করা হোক না কেন, আমরা কখনই পশ্চিমা হতে পারব না। আমাদের জানা উচিত-আমাদের শেকড় কোথায়।’
এর পরপরই ওয়াং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে ‘একসঙ্গে সমৃদ্ধি, এশিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং বিশ্বকে উপকৃত করতে’ চীনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সূচনা বক্তব্যে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এশীয় মূল্যবোধের প্রচার, কৌশলগত স্বায়ত্বশাসনের বোধ জাগিয়ে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে, স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতাকে প্রতিহত করে আধিপত্যের জবরদস্তি থেকে মুক্ত থাকারও আহ্বান জানান তিনি।’
চীনের বিপক্ষ শক্তি হিসাবে ক্রমেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে সিউল-টোকিও। গত মাসেই দক্ষিণ কোরিয়া চীনের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। বৈঠক শেষে চীন রাষ্ট্রদূত স্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে দেখা করেছিল। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়নও শুরু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ঘটনার সূত্র ধরেই সিউল ‘অন্যদের’ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, যুক্তরাষ্ট্র খুবই সূক্ষ্মভাবে ভূরাজনৈতিক লাভের জন্য দ্বন্দ্ব ও বিভাজনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে ওয়াং বলেন, ‘নতুন এ সম্পর্ক বিকশিত হলে এটি শুধু ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার মসৃণ অগ্রগতিকে গুরুতরভাবে হস্তক্ষেপ করবে না। বরং এই অঞ্চলের উত্তেজনা ও সংঘর্ষকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।’