টাইটানিক জাহাজ দেখতে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ১০ দিন পর আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশ থেকে সাবমার্সিবল টাইটানের কয়েকটি টুকরো উদ্ধার করে আনা সম্ভব হয়েছে।
বুধবার টাইটানের ধ্বংসাবশেষ সমুদ্রের তলদেশ থেকে উদ্ধার করে আনার ছবি প্রথম প্রকাশ করা হয় বলে জানায় গার্ডিয়ান।
পর্যটকদের টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে কানাডার উপকূল থেকে স্থানীয় সময় ১৮ জুন সকাল ৬টায় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের দিকে যাত্রা করে সাবমার্সিবল টাইটান।
এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর ৩৮০০ মিটার গভীরে যাওয়ার পর ওপরের জাহাজের সঙ্গে টাইটানের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টাইটান সমুদ্রের তলদেশে কাছাকাছি পৌঁছানোর পর ‘অন্তর্মুখী বিস্ফোরণে’ নিজেই ধ্বংস হয়ে যায়। মারা যান সেটিতে থাকা পাঁচ আরোহীর সবাই।
এর প্রায় সাড়ে চারদিন তল্লাশির পর টাইটানিকের অদূরে ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানায় মার্কিন কোস্টগার্ড।
বুধবার প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ক্রুরা টাইটানের কয়েকটি টুকরো হরিজোন আর্কটিক শিপ থেকে সেন্ট জোন্সের নিউফাউন্ডল্যান্ডে কানাডার কোস্টগার্ড ঘাঁটিতে নামিয়ে নিচ্ছে।
কি কারণে টাইটান বিধ্বস্ত হয়েছে তা অনুসন্ধানে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের যৌথ তদন্ত দল।
টাইটানের আরোহী ছিলেন- ব্রিটিশ ধনকুবের, বিমান সংস্থা অ্যাকশন এভিয়েশনের চেয়ারম্যান হামিশ হার্ডিং (৫৮), পাকিস্তানের এরো করপোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ফরাসি পর্যটক পল অঁরি নারজিলে (৭৭) এবং ওশানগেটের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টকটন রাশ (৬১)।
টাইটান হারিয়ে যাওয়ার পর সেটির অনুসন্ধানে আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে প্রায় আড়াই হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে সেটির অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হয়।
শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছেই টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় সাগরের তলদেশে পাঠানো একটি রিমোট অপারেটিং ভেহিকল (আরওভি)।