বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্কের ইস্তানবুল শহর। এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীভুক্ত লোকজন প্রশাসনের বিধিনিষেধ অগ্রাহ্য করে মিছিল করতে গেলে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এ সময় ৪০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
তুরস্ক সরকার সমকামিতার বিরোধী। এলজিবিটিকিউ আন্দোলনকে তারা গুরুত্ব দেয় না। সম্প্রতি তৃতীয়বারের জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। নির্বাচনি প্রচারে তিনি সরাসরি এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীর বিরোধিতা করেছিলেন। তার বক্তব্য, এ আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা পরিবারিক কাঠামোকে ভেঙে দিচ্ছে। প্রাচীন সংস্কার, মূল্যবোধকে নষ্ট করছে।
স্বাভাবিকভাবেই এরদোগানের এই অভিমতের সঙ্গে সহমত নন এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠী এবং আন্দোলনকারীরা। তারা দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের অধিকারের লড়াই চালাচ্ছেন তুরস্কে। সেই আন্দোলনের সূত্র ধরে রোববার ইস্তানবুলে একত্রিত হয়েছিলেন তারা। লক্ষ্য ছিল একটি মিছিলের আয়োজন করা।
বস্তুত জুন প্রাইড মাস হিসেবে ধরা হয়। গোটা বিশ্বেই বিভিন্ন শহরে প্রাইড মার্চ হচ্ছে। কিন্তু ইস্তানবুলে প্রাইড মার্চের আয়োজন শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় প্রশাসনের বাধায়। পুলিশ রীতিমতো লাঠিচার্জ করে আয়োজনকদের ওপর। তখনই একজন আহত হন।