Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বিমান দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেও টাইটানে প্রাণ হারালেন পাকিস্তানি ধনকুবের

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৩, ১২:৫০ পিএম

বিমান দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেও টাইটানে প্রাণ হারালেন পাকিস্তানি ধনকুবের

ছেলে সুলেমান দাউদের সঙ্গে শাহজাদা দাউদ (ডানে)। ছবি: ডেইলি মেইল

টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া পর্যটকদের কেউ বেঁচে নেই। টাইটান ডুবোযানে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান (১৯)। টাইটান দুর্ঘটনার আগে একবার বিমান দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন শাহজাদা। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।
 
হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, টাইটান দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে এসেছে যে, শাহজাদা এর আগেও একটি ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে সেই দুর্ঘটনায় পাকিস্তানি ব্যবসায়ীর সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ক্রিস্টিন দাউদ। 

টাইটান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে অন্যরা হলেন— ওশানগেটের ৬১ বছর বয়সি সিইও স্টকটন রাশ, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং (৫৮) এবং তাদের সঙ্গে ছিলেন ফরাসি নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি ও বিখ্যাত পর্যটক পল-হেনরি নারজিওলেট (৭৭)।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান ওশানগেট এক্সপেডিশানস জানায়, আটলান্টিকের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া ডুবোযান টাইটানের পাঁচ যাত্রী আর বেঁচে নেই।

নিখোঁজ ডুবোযান টাইটানের উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকারী মার্কিন কোস্টগার্ডের কর্মকর্তারাও একই কথা বলেছেন।

ডুবোযান টাইটান পরিচালনাকারী ওশানগেটের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, নিখোঁজ টাইটানের ভেতরের পাঁচ পর্যটককে মৃত বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, তারা সত্যিকারের পর্যটক ছিলেন, যাদের ভেতরে অ্যাডভেঞ্চারের আলাদা একটা স্পিরিট ছিল।

ডুবোযান টাইটান গত রোববার সকালে অভিযান শুরু করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কানাডার কাছে আটলান্টিক মহাসাগরের এক দুর্গম এলাকায় পানির নিচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে প্রায় ২ ঘণ্টা থাকার কথা ছিল ডু্বোযানটির।

কিন্তু এ সময়সীমা শেষ হওয়ার খানিক সময় আগে পানির ওপরে থাকা যোগাযোগ রক্ষাকারী জাহাজের সঙ্গে ডুবোযানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ডুবোযানে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন মজুত ছিল, যা বৃহস্পতিবার সকালে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম