কিয়েভের আকাশে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ছবি: সিএনএন
ইউক্রেনের একটি শক্তিশালী ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকভর্তি একটি দূর-নিয়ন্ত্রিত ট্যাঙ্কের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই হামলাকে একটি নতুন যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশল বলে মনে হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, প্রায় ৩.৫ টন টিএনটি এবং ৫টি এফএবি-১০০ বোমা’ ট্যাঙ্কে প্যাক করে হামলা চালানো হয়েছে। এফএবি-১০০ বোমা সাধারণত ১০০ কিলোগ্রাম পেলোড বহন করে।
খবরে বলা হয়েছে, শনিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শেয়ার করা একটি ভিডিওতে একজন রাশিয়ান ট্যাঙ্ক কমান্ডার বলেছেন, তাকে ট্যাঙ্ক স্থাপন এবং আক্রমণ চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
ওই কমান্ডার বলেছেন, শত্রু থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে ট্যাঙ্কটি আসার পর আমি রেডিও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এটির বিস্ফোরণ ঘটাই।
‘বিস্ফোরণটি খুবই গুরুতর ছিল, সেখানে প্রচুর বিস্ফোরক ছিল … রেডিও ইন্টারসেপ্টের তথ্য অনুসারে, শত্রুরা উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে,’ তিনি যোগ করেন।
এদিকে ইউক্রেনের একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের তৈরি হামলাকারী ড্রোন দিয়ে মঙ্গলবার কিয়েভে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
কিয়েভের নগর সামরিক প্রশাসনের প্রধান সেরহি পপকো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ড্রোনগুলো ঢেউয়ের মতো রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন দিক থেকে এগুলো ছোড়া হয়েছে। বিমান হামলার অ্যালার্মটি তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে যায়।
পপকো বলেন, কিয়েভের আশপাশের আকাশসীমায় আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ও সিস্টেম দিয়ে প্রায় দুই ডজন শত্রুর লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত ও ধ্বংস করা হয়েছে। চলতি মাসে কিয়েভে এটি দ্বিতীয় শাহেদ ড্রোন দিয়ে হামলা বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে আরেক স্থানীয় ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে রাশিয়ার গোলাবর্ষণে জাপোরিঝিয়া শহর এবং আশপাশের শহরতলিতে বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জাপোরিঝিয়া আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান ইউরি মালাশকোর মতে, এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বেশি কিছু ভবন ধ্বংস হয়েছে।