Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

শুক্রাণু, ডিম্বাণু ছাড়াই মানব ভ্রুণ!

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৩, ১০:২১ পিএম

শুক্রাণু, ডিম্বাণু ছাড়াই মানব ভ্রুণ!

শুক্রাণু, ডিম্বাণু ছাড়াই প্রথমবারের মতো কৃত্রিম মানব ভ্রুণ তৈরি করে বিশ্বকে চমকে দিলেন বিজ্ঞানীরা। 

যুক্তরাজ্যের কেমব্র্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি দাবি করেছে, তারা গবেষণাগারে এমন মানব ভ্রুণ তৈরি করেছে, যাতে শুক্রাণু বা ডিম্বাণুর প্রয়োজন হয়নি। 

বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ায় এক কনফারেন্সে গবেষক দলের প্রধান ম্যাগডালেনা জেরনিকা গোয়েৎজ বলেন, ‘কৃত্রিম এই ভ্রুণটি অবশ্য স্বাভাবিক ভ্রুণের মতো এখনো পরিপূর্ণ হয়ে ওঠেনি। স্বাভাবিক ভ্রুণে যে সময়ে হৎস্পন্দন ও মস্তিষ্কের গঠন শুরু হয়-নতুন ভ্রুণটিতে এখনো তা ঘটেনি। তবে ভ্রুণটির বৃদ্ধি ও বিকাশ অব্যাহত আছে এবং গবেষকরা আশা করছেন-স্বাভাবিকের চেয়ে খানিকটা ধীর গতিতে হলেও একসময় এই ভ্রুণটিতে হৃৎস্পন্দন ও মস্তিষ্কের গঠন শুরু হবে।’ 

মানব জরায়ুর ভেতরে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর নিষেকের পর নিষিক্ত সেই কোষটির ভ্রুণের আকার পেতে ১৪ দিন সময় লাগে। গবেষণাগারে তারা যে ভ্রুণটি সৃষ্টি করেছেন, সেটিও স্বাভবিক ভ্রুণের মতোই বিকশিত হবে বলেও আশা করছেন গোয়েৎজ। 

তার দাবি, এর মাধ্যমে একদিন জিনগত রোগ এবং গর্ভপাতের কারণ সম্পর্কে আরও উচ্চধারণা পাওয়া যাবে। এই গবেষণা যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশকিছু দেশে নীতিগত এবং আইনি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সিনথেটিক ভ্রুণ তৈরির মাধ্যমে চিকিৎসা পদ্ধতিকে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। 

এক্ষেত্রে আবিষ্কারের গতি নিয়ে চিন্তিত বায়োএথিক্স বিশেষজ্ঞরা। কারণ, তাদের দাবি-এই আবিষ্কার মানবসভ্যতাকে জীবনের প্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। 

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই সিনথেটিক ভ্রুণের মাধ্যমে নতুন প্রাণের উদ্ভাবনে অবিলম্বে রাশ টানা দরকার। আইভিএফ পদ্ধতিতে যেভাবে শিশুর জন্ম হয়, এর নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু সিনথেটিক ভ্রুণের সৃষ্টিতে আইনের কোনো লাগাম এখনো নেই। 

সূত্র: সিএনএন
 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম