রাশিয়ার কাছ থেকে চার গ্রাম পুনর্দখলের দাবি ইউক্রেনের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩, ০৪:৫৯ পিএম

পালটা আক্রমণ চালিয়ে রাশিয়ার দখলে নেওয়া দোনেৎস্ক অঞ্চলের চারটি গ্রাম আবারো নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। সোমবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেন কর্মকর্তাদের দাবি, দোনেৎস্ক অঞ্চলের স্টোরোজেভ, ব্লাহোদাতনে, নেস্কুচনে ও মাকারিভকা এলাকা পুরোপুরি এখন তাদের দখলে।
চারটি গ্রাম পুনরায় নিজেদের দখলে নেওয়ার মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শুরুর পর প্রথম বিজয় অর্জিত হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইউক্রেন।
বিবিসি জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দোনেৎস্ক অঞ্চলের ব্লাহোদাতনে ও নেস্কুচনে এলাকায় ইউক্রেনের সেনাদের উল্লাস করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে অবশ্য রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি। এছাড়া দোনেৎস্ক অঞ্চলের চারটি গ্রাম পুনরায় ইউক্রেনের দখলে যাওয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেনি তারা।
এর আগে শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পালটা আক্রমণ শুরু হয়েছে।
রাশিয়ার দখল করে নেওয়া অঞ্চলগুলো পুনরুদ্ধারে বেশ কয়েক মাস ধরেই পালটা আক্রমণে যাওয়ার কথা জানিয়ে আসছিল ইউক্রেন।
কয়েক দিন ধরে রাশিয়া দাবি করে আসছে, ইউক্রেন তাদের পালটা আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কিছুই বলা হচ্ছিল না। অবশেষে শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের পালটা আক্রমণ শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করলেন জেলেনস্কি।
এর আগে শুক্রবার প্রকাশিত এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেনের বাহিনী নিশ্চিতভাবেই তাদের আক্রমণ শুরু করেছে, তবে তাদের অগ্রসর হওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের বহু সেনা হতাহত হয়েছেন।
পুতিনের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই শনিবার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘পালটা আক্রমণ সম্পর্কে পুতিন যা বলেছেন তা গুরুত্বপূর্ণ। তার চেয়ে বড় কথা হলো, রাশিয়া এর প্রভাব অনুভব করছে। আমরা মনে করি, তাদের আর বেশি দিন বাকি নেই।’