ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ছবি: আল জাজিরা
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবার দেশটির পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন। ‘পার্টি গেট কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় দেওয়া এক তদন্ত প্রতিবেদনের জেরে শুক্রবার তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর আগে একই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে বরিস জনসন বলেছেন, প্রিভিলেজেস কমিটির প্রতিবেদনের কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এমপি পদ থেকে তাকে অন্যায়ভাবে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ওই তদন্ত প্রতিবেদনে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, এর আগে শুক্রবার সকালে প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পান জনসন। ওই প্রতিবেদনকে তিনি মনগড়া, অসত্য ও পক্ষপাতে পরিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে দাবি করেন, তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এমন কোনো তথ্য হাজির করতে সক্ষম হয়নি- যাতে এটা প্রমাণ হয় যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে হাউস অব কমনসকে (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) বিভ্রান্ত করেছেন।
খবরে বলা হয়েছে, এর আগে গত মার্চে বরিস জনসন তদন্ত কমিটির কাছে স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি করোনা বিধি উপেক্ষা করে বন্ধুদের নিয়ে পার্টি আয়োজন করার বিষয়ে তিনি পার্লামেন্টকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেছিলেন যে, সেটা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে করেননি।
প্রসঙ্গত, ২০২০-২১ সালে কোভিড-১৯ এর মহামারি চলাকালে দেশটিতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি ছিল। কিন্তু সেই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে নিজ কার্যালয়ে একাধিক পার্টির আয়োজন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিষয়টি নিয়ে তাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। ‘পার্টি গেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত পাওয়া ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন বরিস।