পাকিস্তানের লাহোর কর্পস কমান্ডার হাউস তথা জিন্নাহ হাউসে হামলার প্রধান সন্দেহভাজন খাদিজা শাহসহ ১৩ পিটিআই নারী নেত্রীকে ১৪ দিনের রিমান্ডের নিদের্শ দিয়েছেন সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে (এটিসি)। বিচারিক আদালতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের এটিসির বিচারক আবহার গুল খান মামলার শুনানি শেষে এই রায় দেন। খবর জিও নিউজের।
এর আগে গত ২৩ মে খাদিজাসহ ১৩ নারীকে গ্রেফতারের পর থানায় স্থানান্তর করা হয়। পাঞ্জাব পুলিশ তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তারা নিজেকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থক বলে দাবি করেছেন।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খাদিজাকে ৩০ মে আদালতে হাজির করতে বলেন বিচারক।
আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৯ মে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়। ইমরানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন পিটিআই সমর্থকরা। একপর্যায়ে লাহোরের এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার বাসভবনে (জিন্নাহ হাউস নামে পরিচিত) হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।
৯ মের হামলার ঘটনা নিয়ে গত রোববার একটি অডিও ফাঁস হয়। সেখানে খাদিজা শাহকে বলতে শোনা যায়, তিনি লাহোরে সেনা কর্মকর্তার বাসভবনের বাইরে পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তবে মানুষকে উসকানি দেওয়া কিংবা কোনো ধরনের সহিংসতা করেননি বলে দাবি করেন তিনি।
খাদিজা শাহর বাবা সালমান শাহ পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের অর্থ বিভাগের একজন সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদারের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নকবি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ৯ মে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনার ওপর চালানো হামলার জন্য দায়ী নারীদের যে কোনো মূল্যে গ্রেফতার করা হবে।