এরদোগানের শপথে দুই ‘বন্ধু’ শেখ তামিম ও ইলহাম আলিয়েভ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ০১:২৯ পিএম
এরদোগানের দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত কাতারের আমির শেখ তামিম এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ
দ্বিতীয় দফা (রানঅফ) ভোটে পুনর্নির্বাচিত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান আজ শনিবার পার্লামেন্টে শপথ নেবেন। তার শপথ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত কাতারের আমির ও আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৭ সালে সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার ব্যবস্থায় পরিবর্তনের পর দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে প্রবেশ করছেন এরদোগান। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিগত ২০ বছর ধরে দেশটি শাসন করছেন তিনি। শনিবার শপথ নেওয়ার মাধ্যমে টানা ক্ষমতার তৃতীয় দশকে পা রাখছেন মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এই নেতা।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে, স্থানীয় সময় অনুযায়ী বেলা ২টায় শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মঞ্চ থেকে শপথ পাঠ করার পর মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে বিশ্বের অন্তত ৭৮টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, মন্ত্রী এবং অন্যান্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তুর্কি নেতার প্রশাসনিক কার্যালয়ের একটি সূত্র রুশ সংবাদমাধ্যম তাস-কে বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি, প্রেসিডেন্ট এরদোগানের অভিষেক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের ২০ জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ৪৫ জন মন্ত্রী অংশ নেবেন। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, শপথ অনুষ্ঠান শেষে শনিবারই মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তুরস্কের পর্যবেক্ষক ও মিডিয়াগুলো নতুন সরকারের গঠনের বিষয় নিয়ে বেশি নজর দিচ্ছে।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলির মতে, সরকারের প্রায় পুরো মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আসতে পারে। পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিষয়টি ব্যতিক্রম হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে চূড়ান্ত নিবেন এরদোগান।
প্রসঙ্গত, তুরস্কের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে ১ জুন। এতে দেখা যায়, এরদোগান ৫২ দশমিক ১৮ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৮২ শতাংশ ভোট।