তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার (রান-অফ) ভোটে ৫৯ শতাংশ প্রবাসী ভোটার রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে ভোট দিয়েছেন।
প্রবাসী ভোটারদের ৬৩ শতাংশ ভোট গণনা শেষে রোববার এ ফল পাওয়া গেছে। খবর ডেইলি সাবাহর।
অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন প্রবাসীদের ৪০.৯ শতাংশ ভোট। তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের তথ্যানুযায়ী, ৩৪ লাখ প্রবাসী ভোটারের মধ্যে ১৯ লাভ ভোটার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
গত বুধবার পর্যন্ত তুরস্কের দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী তুর্কিদের ভোট নেওয়া হয়। গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ৪৭০ জন প্রবাসী তুর্কি ভোটার ভোট দিয়েছিলেন।
এতে এরদোগান পেয়েছিলেন ৫৭.৪৭ শতাংশ ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছিলেন ৩৯.৫৭ শতাংশ ভোট।
প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় প্রবাসীদের ভোট বেড়েছে ৭২ হাজার ৫৩০টি। প্রবাসীদের জন্য গত ২০ মে থেকে দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ শুরু করে তুরস্কের দূতাবাসগুলো।
প্রবাসীদের ভোটগ্রহণের জন্য তুরস্কের দূতাবাসগুলোতে ৩ হাজার ৪৬১টি ব্যালট বাক্স স্থাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, রোববার তুরস্কে দ্বিতীয় দফার (রান-অফ) ভোটে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
৯৯.৪৩ শতাংশ ভোট গণনা শেষে এরদোগান ৫২.১৬ শতাংশ ভোট পাওয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আহমেত ইয়েনার।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৮৪ শতাংশ ভোট। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৮৫.২৪ শতাংশ।
এরদোগান তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, আমরা জনগণের ইচ্ছাকে সর্বোচ্চ সম্মান করি। তাদের ইচ্ছাকে সুরক্ষা করার সময় এসেছে এখন।
বিজয়ের আনন্দে এরদোগানের সমর্থকরা তার ইস্তানবুলের বাসভবনে জড়ো হয়ে 'আল্লাহু আকবর' স্লোগান দিচ্ছেন।